বাঞ্ছারামপুরের সন্তান আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়ার জন্ম শতবর্ষ উৎসব উদযাপিত
---
বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার অহংকার, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান, সাবেক সচিব,একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রত্বতত্ত্ববিদ, পুঁথিবিশারদ, অনুবাদক, নৃবিজ্ঞানী, গবেষক, ইতিহাসবিদ, ক্রীড়া সংগঠক আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়ার জন্মশতবর্ষ উৎসব গত ১ ও ২ অক্টোবর ২০১৭ এ ঢাকার স্থাপত্যবিষয়ক গ্রন্থ প্রণয়ন কমিটির উদ্যোগে ঢাবির চারুকলা ইনিস্টিটিউটের বকুলতলায় অনুষ্ঠিত হয়। সহযোগিতায় ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও ঢাবির চারুকলা অনুষদ।
উৎসবে ছিল আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, গ্রন্থ প্রদর্শনী ও বিক্রয় এবং ঐতিহ্যবাহী আখ্যান কাব্যের পরিবেশনা। কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ উৎসবে আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়ার জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা ও স্মৃতিচারণ করেন বিশিষ্ট অধ্যাপকগন, অনুবাদক, শিল্পী, গবেষক ও স্থপতিবৃন্দ।প্রচার বিমুখ এই মনিষী ১৯১৮সালের ১লা অক্টোবর বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।বাংলাদেশের প্রত্বসম্পদ, কুমিল্লা জেলার ইতিহাস সহ বহু গ্রন্থের প্রণেতা আ.ক.ম.যাকারিয়া তাঁর কৃর্ত্তির মাঝে অমর হয়ে থাকবেন।
এদিকে,বিগত ২/৩ দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সাধারন মানুষ আ কা ম মোহাম্মদ যাকারিয়ার জন্ম শতবার্ষিকী নিয়ে কেন বাঞ্ছারামপুরে কোন অনুষ্ঠান হলো না- এই নিয়ে সমালোচনার ঢালপালার বিস্তার ঘটেছে।অনেকে বলছেন,তাকে অবহেলা করা হচ্ছে।ঢাকার মৈত্রি সমিতি সমিতিও কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
বরেণ্য এই ব্যক্তিকে নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সিনিয়র সাংবাদিক ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও ইউনিসেফের ফোকালপার্সন ফয়সল আহমেদ খান বলেন,-‘আমরা বাঞ্ছারামপুরের জনগন,রাজনীতিবিদ,ধন্যাঢ্য ও কৃতি মানুষগুলো যেনো-চোঁখে চশমা দিয়ে রেখেছেন।এমন একজন বরেণ্য ব্যক্তি যুগে-যুগে একজনই জন্মায়।অথচ-বাঞ্ছারামপুরের কোন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান তার নিজ উপজেলায় তার মৃর্ত্যূর পর থেকে একটি সন্মানজনক অনুষ্ঠান করে দেশ-দশের জন্য আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়ার সৃষ্টিগুলো বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন।’