ত্রিপুরায় বছরে পাঁচশো কোটি টাকার বাংলাদেশি পণ্যের বাণিজ্য হচ্ছে
---
নিউজ ডেস্ক : ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় স্থলবেষ্টিত রাজ্য ত্রিপুরায় বছরে প্রায় পাঁচশো কোটির টাকার বাংলাদেশি পণ্যের বাণিজ্য হচ্ছে। ত্রিপুরার মোট ভৌগলিক আয়তনের ৮৫ ভাগই বাংলাদেশ লাগোয়া। এ রাজ্যটিতে বাংলাদেশি পণ্যের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। যা কাজে কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার এক হাজার কোটি টাকা ছাড়াবে বলে মনে করেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরা রাজ্যে সিমেন্ট, ভাঙা পাথর, পিভিসি পাইপ, প্লাস্টিকের বিভিন্ন সামগ্রী, প্রক্রিয়াজাত বিভিন্ন খাদ্য ও পানীয়, ধাতব, কাঠ ও প্লাস্টিকের আসবাবপত্র, মাছ, শুকনা মাছ, সিনথেটিক নিটেড ফেবরিক্স ইত্যাদি সামগ্রী বৈধভাবে আমদানি হচ্ছে। অপরদিকে ত্রিপুরা রাজ্য থেকে আদা, হলুদ, জিরা, ক্রেপ পেপার, পেপার বোর্ড, স্ক্রেপ লোহা, কলা, আনারস, আনার, কমলা ইত্যাদি সামগ্রী রফতানি হচ্ছে।
ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী জানান, ত্রিপুরা থেকে রফতানির কারণে কাস্টম ডিউটি বাবদ ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ১৮ দশমিক ৯৭৪ কোটি রুপি আমদানি হয়েছে, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে আমদানি হয়েছে ২৬ দশমিক ৪৭৩২ কোটি রুপি এবং ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ২৭ দশমিক ৯৫৭০ কোটি রুপি আয় হয়েছে। সব মিলিয়ে গত তিন বছরে বাংলাদেশ থেকে কাস্টম ডিউটি বাবদ আয় হয়েছে ৭৩ দশমিক ৩২৭৬ কোটি রুপি।
দুই দেশের ব্যবসায়ী নেতারা মনে করেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে ত্রিপুরার যোগাযোগ, ফেনী নদীর ওপর ব্রিজের কাজ শেষ হলে বাংলাদেশ-ত্রিপুরার বাণিজ্যের বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি গোটা দক্ষিণ এশিয়ার প্রবেশ দ্বার হবে এটি।
ত্রিপুরা চেম্বার অফ কমার্সের সচিব এম. এল দেবনাথ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ, আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ ও ফেনী নদীর ওপর ব্রীজের কাজ শেষ হলে শুধু সীমান্ত বাণিজ্যই নয়, কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়বে।
ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ত্রিপুরায় রপ্তানি করে ৩৪২ কোটি টাকার পণ্য সামগ্রী আর সেক্ষেত্রে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে যায় মাত্র ০.৪১ কোটি টাকার সামগ্রী।
বর্তমানে সাতটি ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন আছে। আগরতলা, সোনামুড়া, খোয়াইঘাট, কৈলাসর, ধরমনগর, বেলোনিয়া এবং সাব্রুম।