ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় ৪০ স্থানে পশুর হাট : দেশীয় পশুতেই মিটবে কোরবানীর চাহিদা
---
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে সামনে রেখে হাট-বাজার গুলোতে বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির পশু আসতে শুরু করেছে। খামারী ও পাইকাররা জানান দেশে যে পরিমান পশু রয়েছে তা দিয়েই কোরবানীর চাহিদা মিটানো সম্ভব। বেশ কয়েকজন ব্যাপারী জানালেন ৪/৫ মাস আগেই তারা কোরবানীর ঈদের জন্য প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে।বন্যার প্রভাব দাম পড়ে যাওয়ায় ক্ষতির আশংকা তাদের।পর্যাপ্ত পশু থাকায় ঈদে কোরবানীর পশুর কোন সংকট হবেনা বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা জেলা প্রাণসিম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবু সাইদ । কোরবানীর পশুর ক্রেতা- বিক্রেতাদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীর হোসেন জানান । ক্রেতা- বিক্রেতারা যাতে কোন রকম হয়রানীর শিকার না হয় এ ব্যাপারে পুলিশ সার্বক্ষনিক তৎপর রয়েছে।
ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার ৯ উপজেলায় সাড়ে ১১ হাজার খামারে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে লক্ষাধিক পশু। জেলায় ৪০টি হাটে কোরবানীর পশু বেচা-কেনা হবে। হাট-বাজার গুলোতে বিপুল সংখ্যক গরু -মহিষের আমদানী থাকলেও বন্যার কারনে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবার কথা জানান বিক্রেতারা। খামারীদের দাবী প্রতিটি গরুর পিছনে দৈনিক ২/৩ শ টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন যে মূল্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে তাদের পূঁজিই উঠবেনা। প্রতি গরুতে লোকসান গুনতে হচ্ছে । এর মধ্যে যদি ভারত থেকে গরু আসে তবে তারা চরম ক্ষতির সন্মুখীন হবে। গরু ব্যবসায়ীদের লোকসানের হাত থেকে রক্ষাসহ নির্বিঘ্নে কেনা-কাটা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সংশ্লিষ্টরা গ্রহন করবেন এমন প্রত্যাশাই সাধারন মানুষের।