বাঞ্ছারামপুরে কৌশগত চাঁদাবাজি করা হচ্ছে হাতি দিয়ে : অনেকে নীরব
---
ফয়সল আহমেদ খান : হাতি দিয়ে কৌশলগত চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোর গাড়ি চালকসহ ব্যবসায়ীরা।হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি নতুন কোন ঘটনা না হলেও,আগে হাতির খাবারের অর্থসহায়তায় বিভিন্ন ব্যক্তি খুশী হয়ে টাকা দিতো।খোজ নিয়ে জানা যায়.বিগত রমজান মাসের শেষ দিক হতে বর্তমানে পার্শ্ববর্তী ভারতে বন্যা দেখা দেয়ার কারনে হাতির মালিকগন দলে দলে হাতি নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লাজেলার সীমান্ত-ঘেষা উপজেলার সড়কগুলোতে অনুপ্রবেশ করছে।এগুলো ভারতীয় হাতি,তাদের মালিকও ভারতীয় বাংলাভাষী বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।আর,তাদের ভয়ে এখন পরিবহন চালক/যাত্রীদের কাছে রীতিমতো চাঁদা দেয়ার ভয়ে আতংক সৃষ্টি হয়েছে।হাতি ও হাতির পরিচালকরা দৈনিক ৩ হতে ৫ হাজার টাকা দোকান-পাটের পর,এখন, বিভিন্ন শ্রেনীর যানবাহন থেকে এসব চাঁদা আদায় করা হলেও,তা বন্ধের কোন ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। মোটরসাইকেল করিমন-নসিমন,বাস,মাইক্রো,পিকআপ,লরি,প্রাইভেট কার, ট্রাকসহ কুমিল্লা- – ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মহাসড়কে নিয়মিত চলাচল করা যান বাহনের গতিরোধ করে চলছে এই চাঁদাবাজি। এছাড়া গ্রাম-গঞ্জে লম্বা-লম্বা পদক্ষেপসহ হিংস গতিতে গিয়ে জোর করে,কারো কলা গাছ কেটে নেয়া, চাল,ধান,মুসুরীর ডাল.আলু,সবজি নেয়া এবং দোকান থেকে চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে।
হাসান নামে এক ইজিবাইক চালক অভিযোগ করেন, রাস্তাায় হাতি দিয়ে তাদের গাড়ি ঠেকিয়ে টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিতে চাইলে কিংবা যে পরিমাণ চায় তা না দিলে সামনে থেকে হাতি সরে না এবং সুড়ে পেরেক/আলপিন জাতীয় সরু তাঁরকাটা দিয়ে শরীরে আঘাত করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক অভিযোগ করেন, এক দুই দিন নয়, প্রতিদিনই রাস্তাায় গাড়ি আটকিয়ে চাঁদাবাজি করা হয়।
মহাসড়কে গাড়ির গতি রোধ করায় সড়ক দুর্ঘটনার যেমন আশঙ্কা রয়েছে, তেমনি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ভুক্তভোগিরা।
এ ব্যপারে শৈলকুপা থানা পুলিশেরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, তাদেরকে নিষেধ করে দেয়া হবে চাঁদাবাজি না করতে।