ছেলেবেলার ক্লাবে ফিরলেন রুনি
---
স্পোর্টস ডেস্ক :ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেই কাটিয়েছেন ওয়েইন রুনি। ওল্ড ট্রাফোর্ডকেই বলা চলে তাঁর ঘরের মাঠ। ২০০৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত, টানা ১৩টি বছর ম্যানইউর জার্সি গায়েই খেলে গেছেন ইংল্যান্ডের এই তারকা ফুটবলার। ২০০২ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলে রুনি পা রেখেছিলেন কিন্তু এভারটনের জার্সি গায়ে। ১৩ বছর বয়স থেকেই এভারটনের যুব দলে খেলা শুরু করেছিলেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। এবার ক্যারিয়ারের শেষপর্যায়ে এসে আবার সেই ছেলেবেলার ক্লাবে ফিরেছেন রুনি। এবারের মৌসুমের শুরুতেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে নাম লিখিয়েছেন এভারটনে।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে বেশ কিছুদিন ধরেই নিষ্প্রভ হয়ে ছিলেন রুনি। প্রথম একাদশেও নিয়মিত হতে পারছিলেন না। ফলে শেষ পর্যন্ত শৈশবের ক্লাব এভারটনে পাড়ি জমানোটাই ক্যারিয়ারের জন্য ভালো মনে করেছেন ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। তবে অন্য অনেকেই যেমন অবসরের কথা মাথায় রেখে ক্যারিয়ারের শেষপ্রান্তে এসে ছেলেবেলার ক্লাবে ফিরে যান, রুনি কিন্তু তেমনটা ভাবছেন না। এভারটনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমি এটাকে অবসর নেওয়ার জায়গা হিসেবে চিন্তা করছি না। আমি ভালো খেলতে চাই, জিততে চাই, সফল হতে চাই।’
এভারটনে ভালো খেলে জাতীয় দলেও আবার জায়গা করে নিতে চান রুনি। আগামী বছরেই রাশিয়াতে শুরু হবে ফুটবল বিশ্বকাপ। ইংল্যান্ডের সেই বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নেওয়ার চিন্তা থেকেই মূলত এভারটনে নাম লিখিয়েছেন রুনি। এখানে তিনি সুযোগ পাবেন নিয়মিত খেলার। জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার জন্য যেটা খুবই জরুরি।
গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে মাত্র ১৫টি প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে খেলতে পেরেছিলেন রুনি। এই ব্যাপারটাতে বেশ হতাশাই প্রকাশ করেছিলেন ক্লাবটির অন্যতম সেরা খেলোয়াড়।
২০০৪ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ার পর রুনি জিতেছিলেন পাঁচটি প্রিমিয়ার লিগ ও একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। রেড ডেভিলদের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ডে রুনি ছাড়িয়ে গেছেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ববি চার্লটনকে।