রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য অর্জনে হ্যাটট্রিক
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : গত দুই বছরের মত এবারও রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলো। সদ্যসমাপ্ত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭১ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআরের সাময়িক হিসাবে, আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও শুল্ক মিলিয়ে এক লাখ ৮৫ হাজার ৭১ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে। সংশোধিত লক্ষ্য ছিল এক লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা।
রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের খবর জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এনবিআরের ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, এ নিয়ে পরপর তিন বছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এ জন্য এনবিআরের পক্ষ থেকে সকল করদাতার প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
স্ট্যাটসে আরো বলা হয়, অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে এনবিআরকে এ সাফল্য ধরে রাখতে হয়েছে। তবে নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে এনবিআরকে বিশেষ কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত থাকতে না হলে রাজস্ব আহরণ অনেক বেশি হতো বলে উল্লেখ করা হয়।
এতে আরো বলা হয়, পেট্রোবাংলার কাছে ২৩ হাজার কোটি টাকা বকেয়া আদায় না হওয়া, সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ হাজার কোটি টাকা (বিভিন্ন প্রকল্পে ভবিষ্যতের বিনিয়োগ) অব্যাহতি না দেয়া হলে এবং ব্যাংকিং খাতে ১৪ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি না হলে রাজস্ব আয় আরো বাড়তো। পাশাপাশি ঈদ ও রমজানের দীর্ঘ ছুটির ফাঁদে পড়ায় শেষ সময়ে রাজস্ব আহরণের পুরো সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যায়নি।
এনবিআরের গবেষণা ও পরিসংখ্যান বিভাগের মহাপরিচালক বেলাল চৌধুরী বলেন, এক লাখ ৮৫ হাজার ৭১ কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের এই হিসাব সাময়িক। আগামী ২৫ জুলাই আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) এবং শুল্ক থেকে আহরিত রাজস্ব আয়ের আলাদা হিসাব পাওয়া যাবে। তখন চূড়ান্ত রাজস্ব বিবরণী পাওয়া যাবে।
স্ট্যাটাসে মন্তব্য করা হয়, এনবিআরের রাজস্ব আয়ের ধারাবাহিক এই সাফল্যের অংশীদার হলেন দেশের সকল নাগরিক, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা এবং করদাতা অংশীজন। এর পাশাপাশি রাজস্ব কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলা হয়, তারা রাজস্ব আহরণে যথেষ্ট আন্তরিক ছিলেন।
উল্লেখ্য, সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরের শুরুতে এনবিআরকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয় দুই লাখ তিন হাজার ১৫২ কোটি টাকার। পরে সেটিকে সংশোধন করে এক লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকায় আনা হয়। এদিকে, চলতি অর্থবছরে এনবিআরকে দুই লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য দেয়া হয়েছে।