বিমানের গুদাম থেকে ৪ হাজার মোবাইল চুরি!
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আমদানি কার্গো ভিলেজের গুদাম থেকে প্রায় ৪ হাজার মোবাইল ফোন সেট চুরি হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ বিমানের গুদাম থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামি-দামি মোবাইলগুলো চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে বিমানবন্দরে দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থা মোবাইল ফোন চুরির বিষয়টি অবগত হলেও এ বিষয়ে তথ্য দিতে নারাজ। খবর বাংলানিউজের।
চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনগুলোও খুব শিগগিরই নিলামে বা ধ্বংসের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হওয়ার কথা ছিলো। সেগুলোর কোনো দাবিদারও ছিলো না। সাধারণত মোবাইল আমদানিতে বিটিআরসি’র অনুমোদন লাগলেও এক্ষেত্রে তা ছিলো না।
জানা গেছে, ডেলিভারির নির্ধারিত সময়ে গুদামের গেটে দায়িত্ব পালন করে কাস্টমস্। আবার গুদামে থাকা পণ্য ইনভেনট্রি করা হয় প্রথমত সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ও দ্বিতীয়ত দুপুর ২টা থেকে বিকেলে ৫টা পর্যন্ত। এর বাইরে কাস্টমসের কোনো কর্মকর্তার গুদামে থাকার সুযোগ নেই। তবে সার্বক্ষণিকভাবে বিমানে পণ্য আগমন ও বহির্গমন হওয়ায় বিমানের কর্মকর্তারা সব সময় দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এছাড়া রানওয়ের পাশে গুদামের প্রবেশপথে সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত থাকে এপিবিএন। আর ৮ নম্বর হাঙ্গার গেটে দায়িত্বরত থাকেন এপিবিএন, সিভিল এভিয়েশন, কাস্টমস্, বিমান সিকিউরিটি ও আনসার সদস্যরা। ফলে গুদাম থেকে পণ্য বের হতে যেমন বিমানের অনুমতির প্রয়োজন, তেমনিভাবে গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় কারও নজরে পড়বে না এটাও আশ্চর্যজনক।
এদিকে পণ্য আমদানি-রফতানির সঙ্গে জড়িত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের দাবি, বাংলাদেশ বিমানের গাফিলতিতে প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো পণ্য চুরি হচ্ছে। এজন্য বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে শত শত চুরির অভিযোগ দেওয়া হলেও কোনো সুফল মেলেনি। কিন্তু গুদামের মালিক বিমান আর পণ্য চুরি হবে, সেখানে বিমান জানবে না, এটি কি সম্ভব?
ঢাকা কাস্টমস্ হাউস কর্তৃপক্ষ জানায়, মোবাইল ফোনগুলো বাংলাদেশ বিমানের জিম্মায় গুদামে রাখা হয়েছিলো। সেখান থেকে কিভাবে মোবাইলগুলো চুরি হয়েছে, সেটি বিমান কর্তৃপক্ষই ভালো বলতে পারবে। এখানে কাস্টমসের কিছু বলার নেই। এদিকে বাংলাদেশ বিমানের গুদামের সিকিউরিটি ম্যানেজার আজাদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন’।