হৃদযন্ত্র বিকল হয়েও বেঁচেছিলেন, মারা গেলেন সন্তান জন্ম দিয়ে
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের ফার্গুসনের বাসিন্দা মেগান জনসন (৩১)। সাত বছর আগে তাঁর হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে পড়েছিল। বাঁচার আশাও ছিল ক্ষীণ। এর পর হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করে ফিরে এসেছিলেন নিশ্চিত মৃত্যুর কবল থেকে। সেই ঘটনায় আনন্দিত হয়ে তাঁর স্বামী নাথান ইনস্টাগ্রামে পোস্টও করেছিলেন। এর সাত বছর পর সন্তান জন্ম দিয়ে আবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মেগান। কিন্তু এ যাত্রায় আর তাঁকে রক্ষা করা যায়নি। পরিবারের সবাইকে কাঁদিয়ে চলে যান না ফেরার দেশে।
মেগানের স্বামী নাথানের পারিবারিক বন্ধু যশ উইলসন জানান, স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার রাত ২টা ৪০ মিনিটে মিসৌরির নাশভিল শহরের ভান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারে এক ফুটফুটে কন্যাশিশুর জন্ম দেন মেগান। সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। নাথান তাঁর শিশুর আগমনের খবর জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘অচিরেই সবার সঙ্গে তাকে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে। আমি সুখী মানুষ।’
দি ইনডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়, মেগান-নাথান দম্পত্তি তাঁদের সন্তানের নাম দিয়েছিলেন ইলি কেটি। এর একদিন না যেতেই তাঁদের আনন্দে ভাটা পড়তে থাকে। বুধবার সকাল ৯টার দিকে মেগান অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে ছুটে আসেন চিকিৎসকরা। এর পর ১০টার কিছুক্ষণ আগেই মারা যান মেগান।
এ বিষয়ে জনসনের বন্ধু যশ উইলসন বলেন, ‘তারা (মেগান-নাথান) খুবই উচ্ছ্বসিত ছিল। সারা রাত না ঘুমিয়ে তারা সন্তানের সঙ্গে সময় কাটিয়েছে। সকাল পর্যন্ত তার সঙ্গে কথা বলেছে।’
উইলসন জানান, মেগানের মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন নাথান। তাঁর নিকটাত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা তাঁদের কন্যাকে দেখতে এসেছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়, হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়া নারীরা সন্তান জন্মদানের পর আবার একই সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। মেগানের ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটেছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন গর্ভধারণ করলে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে বলে তাঁকে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল।