তিস্তায় বিজিবি’র ল্যান্স নায়েক নিখোঁজ, যাচ্ছে হেলিকপ্টার
---
লালমনিরহাট প্রতিনিধি : চোরাকারবারীদের ধরতে গিয়ে তিস্তায় নিখোঁজ হয়েছেন বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর ৬১ ব্যাটালিয়নের দহগ্রাম ক্যাম্পের ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া। নিখোঁজ ল্যান্স নায়েককে খুঁজে পেতে এবার হেলিকপ্টার দিয়ে তিস্তা নদী মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজিবি।
ইতিমধ্যে তার সন্ধানে তিস্তায় বিজিবি’র ৩টি, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর ৩টি স্পীডবোট ও রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবরী দল কাজ করছে। স্থানীয় শতাধিক মানুষও উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছে।
নিখোঁজ সুমন মিয়া হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তিনি রংপুর ৬১ বিজিবি’তে কমর্রত থাকলেও লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নে সংযুক্ত রয়েছেন।
বডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেঃ কর্ণেল গোলাম মোরশেদ জানান, নিখোঁজ ল্যান্স নায়েক সুমনের খোঁজ পেতে এবার হিলিকপ্টার দিয়ে তিস্তা নদী মনিটরিং করা হবে। ইতোমধ্যে তিস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে বিজিবি, বিএসএফ ও ফায়ার সার্ভিসের একাধিক দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। স্থানীয়রাও উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। তবে তিস্তায় প্রবল স্রোতের কারণে এখন পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান সফল হয়নি। পুরো তিস্তা নদী মনিটরিং করতে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার রওনা দিয়েছে।
জানা যায়, সোমবার রাতে দহগ্রাম ক্যাম্পের ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়ার নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি টহল দল গরু পাচারকারীদের ধরতে তিস্তা নদীর চরে অভিযান চালান। এ সময় আবুলের চর ৬/৩ এস সীমানা পিলার এলাকায় তিস্তা নদীতে ভেসে যান সুমন মিয়া। এরপর থেকে তার আর কোন খোঁজ মেলেনি।
বিজিবি’র পক্ষ থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সহযোগিতা চাওয়া হলে বিএসএফ এর একটি দল তিস্তায় স্পীড বোর্টের সাহায্যে তার সন্ধানে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। এদিকে ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের মোঘলহাট ক্যাম্পের একটি স্পীড বোর্ট দহগ্রামে পৌঁছে গেছে।