শুক্রবার, ৩০শে জুন, ২০১৭ ইং ১৬ই আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বেনজির ভুট্টোর ‘লাগামহীন যৌনজীবনের’ গোপন তথ্য ফাঁস

AmaderBrahmanbaria.COM
জুন ২৪, ২০১৭

---

মাথায় ওড়না, পরনে সালোয়ার কামিজ। ছাদ খোলা গাড়ির মধ্যে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়ছেন বেনজির ভুট্টো। আজও তার কথা উঠলে চোখে ভেসে উঠে এই ছবিটিই। তবে সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে পাকিস্তানে ‘বেনজির’ জনপ্রিয় প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জীবনের একটি গোপন অধ্যায়। তিনি অবাধ যৌনতা ও একাধিক পুরুষের সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছিলেন বলে ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।

‘ইনডিসেন্ট করেসপন্ডেন্স: সিক্রেট সেক্স লাইফ অফ বেনজির ভুট্টো’ নামের একটি বইয়ে বেনজিরের যৌনজীবন নিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

লন্ডনে বেনজির ভুট্টো। 

বইটির লেখক রোশন মির্জার দাবি, ব্রিটেনে থাকাকালীন একাধিক পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে অবাধ যৌনতায় মেতে উঠেছিলেন বেনজির। তার সঙ্গীদের মধ্যে পাকিস্তানের এক বিখ্যাত ক্রিকেট তারকা থেকে শুরু করে বয়সে অর্ধেক অখ্যাত পুরুষও ছিলেন।

১৯৫৩ সালে পকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেন বেনজির ভুট্টো। তারপর করাচি ও রাওয়ালপিণ্ডি থেকে স্কুলের পাঠ শেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন তিনি।

১৯৭৩ সালে হার্ভার্ড থেকে স্নাতক হওয়ার পর লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন বেনজির। সেখান থেকেই অন্যখাতে বইতে শুরু করে তার জীবন। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পাকিস্তানি ক্রিকেট তারকা ইমরান খানের সঙ্গে। দুজনের ‘যৌন’ ও ‘অন্তরঙ্গ’ মুহূর্ত নিয়ে নিজের আত্মজীবনীতে মুখ খুলেছেন ইমরান।

আসিফ আলী জারদারিকে বিয়ে করেন বেনজির ভুট্টো। 

১৯৮৭ সালে আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে বিয়ের পর পাকিস্তানের ১১তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে গদিতে বসেন বেনজির।

নিজের বইয়ে মির্জা দাবি করেছেন, আমেরিকায় নিযুক্ত তৎকালীন পাক রাষ্ট্রদূত শেরি রেহমান নাকি বেনজিরের জন্য ‘সেক্স পার্টি’র আয়োজন করতেন। সেখানে নিজেদের বিকৃত যৌন লালসা চরিতার্থ করতেন অনেক প্রভাবশালীরাই। এমনকি নিজের সঙ্গী বদল করে অবাধ সঙ্গমও নাকি হত সেখানে। এ ছাড়াও ওমর নামের বয়সে প্রায় অর্ধেক এক মরোক্কান যুবকের সঙ্গেও নাকি প্রায়ই সঙ্গমে লিপ্ত হতেন বেনজির। শুধু তাই নয়, ওই যুবককে দিয়ে নিজের কামনা পূর্ণ করতেন শেরি রেহমান নিজেও।

পার্টিতে বেনজির। 

এ ছাড়াও আমেরিকা ও লন্ডনে বেনজিরের বাড়িগুলিতেও নাকি চলত ‘সেক্স পার্টি’। বিতর্কিত বইটির লেখকের দাবি, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর বিকৃত যৌনজীবনের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে তার কাছে। তবে যাই হোক না কেন, ২০০৭ সালে তাকে হত্যা করা হলেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি তার।