মুসার বিরুদ্ধে কেন মামলা নয়, জানতে চেয়ে নোটিশ
---
নিউজ ডেস্ক : কথিত ধনকুবের মুসা বিন শমসেরের ব্যবহৃত গাড়িটি কেন বাজেয়াপ্ত করা হবে না এবং তার বিরুদ্ধে কেন মামলা দায়ের করা হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কাস্টমস। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এই কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
কাস্টমসের একটি নির্ভরশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।সূত্র জানায়, গত মাসে মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইনে বিভাগীয় মামলা দায়ের করে শুল্ক গোয়েন্দা। বিচারের জন্য বিষয়টি অবহিত করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে।
সূত্র আরো জানায়, নোটিশের উত্তর না পেলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মুসার ব্যবহৃত গাড়িটি বাজেয়াপ্ত ও অর্থদণ্ড করবে। মামলা করবে মানি লন্ডারিং আইনে। এতে কথিত এই ধনকুবেরকে কারাগারেও যেতে হতে পারে।
অন্যদিকে মুসার বিলাসবহুল রেঞ্জ রোভার গাড়িতে শুল্ক ফাঁকি সংক্রান্ত দুর্নীতি সংঘটিত হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা দায়েরের সুপারিশ শুল্ক গোয়েন্দা করেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে দুদক সচিব আবু মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বলেন, শুল্ক গোয়েন্দা থেকে সুপারিশকৃত একটি চিঠি পাওয়া গেছে। যেখানে মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলার সুপারিশ করা হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দার সুপারিশকৃত বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মুসার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করবে দুদক। ওই তদন্তে মুসার ব্যবহৃত গাড়িতে কোনো ধরনের মানি লন্ডারিংয়ের তথ্য খুঁজে পেলে মামলা করবে দুদকও।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল মুসার ব্যবহৃত ‘রেঞ্জ রোভার ভোগ’ মডেলের গাড়ি আটক করে। গাড়িটি ভোলা বিআরটিএ থেকে শুল্ক পরিশোধের ভূয়া বিল অব এন্ট্রি দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। উপরন্তু গাড়িটির রং নিয়েও তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি।
আমদানিকালে গাড়িটির রং ছিল সিলভার। রেজিস্ট্রেশনকালে পাওয়া গেছে সাদা রং। আর আটককালে দেখা গেছে, গাড়িটির রং কালো। শুল্ক গোয়েন্দার চোখ ফাঁকি দিতে গাড়িটির রং বারবার পাল্টানো হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।