নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কূটনীতিক গ্রেফতার
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশের এক কূটনীতিককে গ্রেফতার করেছে সেখানকার পুলিশ। সোমবার সকালে তাকে আটক করা হয়। কুইন্স কাউন্টির অ্যাটর্নির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়।
ওয়েবসাইটে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম শাহেদুল ইসলাম (৪৫) এবং তার পদবী ডেপুটি কনসাল জেনারেল অব বাংলাদেশ উল্লেখ করা হয়েছে। সে কুইনসের পাশেই জ্যামাইকা স্টেটে বসবাস করছে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিউইয়র্কে তার বাসায় আরেকজন বাংলাদেশি নাগরিককে তিন বছরের বেশি সময় ধরে সহিংস নির্যাতন ও হুমকি দিয়ে বিনা বেতনে কাজ করতে বাধ্য করেছেন তিনি।
ওই শ্রমিক যুক্তরাষ্ট্রে আসার পরপরই অভিযুক্ত শাহেদুল ইসলাম তার পাসপোর্ট কেড়ে নেন এবং তাকে দিয়ে দৈনিক ১৮ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করান বলেও অভিযোগ এসেছে।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামিম আহসান জানান, অভিযুক্ত শাহেদুল ইসলামকে ৫০ হাজার ডলার বন্ডে জামিন আদেশ দেয়া হয়েছে। তবে তিনি এখনো মুক্ত হননি। আগামী ২৮ জুন তাকে আবারও আদালতে হাজির হতে হবে।
বাংলাদেশি দূতাবাস কর্মকর্তা আনুমানিক ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সালের মে মাস পর্যন্ত কোনো ধরনের অর্থ ছাড়াই একজন ব্যক্তিকে তার বাড়িতে কাজে বাধ্য করেন। এরপর মোহাম্মদ আমিন নামে ওই ব্যক্তি গত বছর মে মাসে পালিয়ে গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়।
নিউইয়র্কের কুইন্সবরোর অ্যাটর্নি রিচার্ড এ ব্রাউন এ অভিযোগকে খুবই ‘উদ্বেগজনক’ উল্লেখ করে বলেন, ‘একজন কনস্যুলার তার বাড়িতে আরেকজনকে কাজে বাধ্য করতে শারীরিক জোর খাটিয়েছেন এবং হুমকি দিয়েছেন। সেই সাথে প্রথমদিন থেকেই ওই কর্মীকে কাজে আটকে রাখার জন্য তার পাসপোর্ট কেড়ে নিয়েছেন। তাকে বেতন দিতে অস্বীকার করেছেন এবং অন্যদেশে থাকা তার পরিবারকে বিপদে ফেলার হুমকি দেন। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিশ্চিতভাবেই অভিযুক্তকে শাস্তি পেতে হবে।’
তার বিরুদ্ধে সবগুলো অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে ১৫ বছরের জেল খাটতে হতে পারে। কনস্যুলেট কর্মকর্তারা বলেন, আইনি পদক্ষেপ মোকাবেলার জন্য তারা সবোর্চ্চ চেষ্টা করছেন।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামিম আহসান বলেন, তাদের ধারণা- অভিযোগকারী যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের আশায় এ ধরনের অভিযোগ করেছেন, যা সত্য নয়। সূত্র: বিবিসি