আবারো নেপালের প্রধানমন্ত্রী দেউবা
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নেপালের ক্ষমতাসীন ‘নেপালি কংগ্রেস’ (এনসি) এর প্রধান শের বাহাদুর দেউবা দেশটির ৪০তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন। এই নিয়ে চতুর্থ বার এ পদে এলেন এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ।
হিমালয়ের কোলে অবস্থিত এই দেশটির প্রধান বিরোধীদল ‘কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউনিফাইড মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট)’ (সিপিএন-ইউএমএল) তাদের সংসদীয় অবরোধ তুলে নিলে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করার পথ সুগম হয়।
এর আগে শনিবার নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও একটি ওয়ার্ডে পুনর্নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিপিএন-ইউএমএল বিক্ষোভ শুরু করলে তা পিছিয়ে যায়। পরে সরকারে থাকা দলগুলো ২৪ জুনের মধ্যে বাকি চারটি প্রদেশে স্থানীয় নির্বাচন এবং ২৮ জানুয়ারির মধ্যে প্রাদেশিক ও সাংসদীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিলে তারা বিক্ষোভ বন্ধ করে।
মঙ্গলবার নেপালের সংসদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে একমাত্র প্রার্থী হন দেউবা। বিরোধীদলগুলো কোনো প্রার্থী দেয়নি এই নির্বাচনে।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার জন্য দেউবার প্রয়োজন ছিল ৫০ শতাংশের বেশি আইনপ্রণেতার সমর্থন। ৫৯৩ আসনের সংসদে ২৯৭টি ভোটের প্রয়োজন ছিল তার। ক্ষমতাসীন কংগ্রেস-মাওবাদী জোটের হাতে ছিল ২৮৭টি আসন। পাশাপাশি ২১টি আসন নিয়ে আরো ৪টি দল জোটকে সমর্থন দেয়। ফলে অবাধে নির্বাচিত হন দেউবা।
দেউবা বিদায়ী ‘কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (মাওয়িস্ট সেন্টার)’ (সিপিএন-এমসি)-এর দলপ্রধান পুষ্প কমল দহল ওরফে প্রচন্ডের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
এর আগে দেউবা ১৯৯৫-৯৭, ২০০১-০২ ও ২০০৪-০৫ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৫ সালে তৎকালীন রাজা জ্ঞানেন্দ্র নির্বাচন আয়োজন ও মাওবাদীদের সঙ্গে আলোচনায় অপারগতার অভিযোগে বরখাস্ত করেন।তথ্যসূত্র : এনডিটিভি অনলাইন