g ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুড়ি তৈরীতে ব্যস্ত কারিগররা | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বুধবার, ১৫ই নভেম্বর, ২০১৭ ইং ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুড়ি তৈরীতে ব্যস্ত কারিগররা

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ৩১, ২০১৭
news-image

---

তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : রমজানে চাহিদা মেটাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের চর সোনারমপুরসহ জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে হাতে ভাজা মুড়ি তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মুড়ি তৈরীর কারিগররা। অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর চালের দাম বেশি থাকায় মুড়ি বিক্রি করে খুব একটা লাভবান হচ্ছেন না তারা। কোন প্রকার কেমিক্যালের মিশ্রন না থাকায় সুস্বাদু হওয়াতে এ মুড়ির বিপুল চাহিদা থাকলেও চড়া সুদে ঋণ নিয়ে এ ব্যবসায় টিকে থাকতে পারছে না মুড়ি ব্যবসায়ী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মেঘনা নদীর বুকে জেগে উঠা এক শ্যামল চর সোনারামপুর গ্রাম। শতবছরের পুরোন এই গ্রামের লোক সংখ্যা প্রায় ৬হাজারের মতো। গ্রামের অধিকাংশরাই জেলে পরিবার। কেউ মাছ ধরে আবার কেউ খৈ মুড়ি ভেজে চলে তাদের জীবন। এ গ্রামে পুরুষের পাশা পাশি নারীরা হাতে বাজা মুড়ি তৈরী করে বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করে। শুধুই নারীরা নয় পুরুষরা নদীতে মাছ ধরার কাজ শেষে বাড়িতে গৃহীনিদের সাথে কাজে যোগদেন। সারা বছর জুড়েই মুড়ির চাহিদা থাকলেও রমজান আসলে এর চাহিদা বেড়ে যায় কয়েক গুন। তাই এই গ্রামে নারী পুরুষ এখন মুড়ি তৈরীর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাদের উৎপাদিত মুড়ি কেউ কেউ পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন। আবার কেউ কেউ নিজেই বাড়ি বাড়ি ঘুড়ে বিক্রি করেন। পাইকারী ভাবে প্রতি কেজি মুড়ি বিক্রি হয় ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। আর খুচরা প্রতি কেজি বিক্রি হয় ১০০ টাকায়। তাদের উৎপাদিত মুড়ি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। হাতে ভাজা মুড়ি কোন প্রকার কেমিক্যালের মিশ্রন না থাকায় এ মুড়ি খেতে খুবই সুস্বাদু জানান ক্রেতারা। মুড়ির পাইকাররা জানান, হাতে বাজা মুড়ি সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদা বেশি থাকলেও সরবরাহ কম থাকায় বাজারে মেশিনে তৈরীর মুড়ি এখন বেশি। মুড়ি প্রস্তুত কারক বশির আহমেদ জানান, মুড়ি তৈরীতে যে পরিমান শ্রম তাদের ব্যয় হয়। সেই পরিমান আয় হয়না তাদের, রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুকিও। এছাড়াও পুজির অভাব থাকায় চড়া সুদে ঋন এনে পুজি বিনিযোগ করায় সুদ দিয়ে মুনাফার অংকটাও অনেক কম। পুজির অভাবে এ ব্যবসা ঠিক ভাবে করতে পারছে না। তবে অন্যন্যা বছরের তুলনায় এ বছর হাওরে ধান তলিয়ে যাওয়ায় চালের মান অনেকটা ভালো না এবং দামও বেশি। তাই এ বছরের অন্যান্য বছরের তুলনায় মুনাফা হবে খুবই কম। সরকার অল্প সুদে তাদের মাঝে ঋণ দেয়ার জন্য তারা দাবি জানিয়েছেন।

 

এ জাতীয় আরও খবর