বৃহস্পতিবার, ১৩ই জুলাই, ২০১৭ ইং ২৯শে আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভোট পুনঃগণনা হচ্ছে

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ৮, ২০১৭

---

বিনোদন প্রতিবেদক : চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ভোট আবার গণনা করা হচ্ছে। আজ সোমবার দুপুর থেকে শুরু হয়েছে ভোট পুনঃগণনা। দুপুরে বিষয়টি গ্লিটজকে নিশ্চিত করেছেন আপিল বিভাগের চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন দিলু। এর আগে ওই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে রোববার নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা আপিল বিভাগের কাছে আবেদনের প্রেক্ষিতে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান জয়লাভ করেন। শনিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে নির্বাচনের ফলাফল জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার মনতাজুর রহমান আকবর। কিন্তু রোববার বিকেলে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে লিখিত আবেদন করেন ওমর সানি। সেই আবেদন গ্রহণ করে সোমবার দুপুরে জরুরি সভায় বসে আপীল বিভাগ। সেখানে ভোট পুনঃগণনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

প্রসঙ্গত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান। সভাপতি পদে ২৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মিশা সওদাগর। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওমর সানি পেয়েছেন ১৫৩ ভোট। অপরদিকে ২৭৯ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদ খান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী অমিত হাসান পেয়েছেন ১৪৫ ভোট। নির্বাচনে মোট ২১টি পদে লড়ছেন ৫৭ প্রার্থী। মোট ৬২৪ জন ভোটারের মধ্যে নির্বাচনে ভোট প্রদান করেছেন ৫৫৮ জন ভোটার।

ভোট পুনঃগণনা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে আপিল বিভাগের চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন দিলু বলেন, আজ আপিল বিভাগ ও নির্বাচন কমিশন এক জরুরী সভায় বসেন। সেখানে পরাজিত সভাপতি প্রার্থী ওমর সানির আবেদনের প্রেক্ষিতে ভোট পুনঃগণনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক কিছুক্ষণ আগে শুরু হয়েছে ভোট পুনঃগণনার কাজ, বর্তমানে তা চলছে। এখানে নির্বাচন কমিশন কর্তৃপক্ষও উপস্থিত রয়েছেন। মঙ্গলবার এর ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।

ওমর সানি তার লিখিত অভিযোগে বলেন, নির্বাচনে ভোট কাস্ট হয়েছে ৫৫৮টি। এর মধ্যে ৮৯টি ভোট বাতিল বলে নির্বাচন বোর্ড প্রকাশ করেছে। তারপরেও মোট ফলাফল অসঙ্গতিপূর্ণ। যেমন, সভাপতি ৩ জনের ভোট যোগ করলে মোট ৪৬৯টি ভোট হওয়া উচিত। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে পাওয়া যাচ্ছে মোট ভোট ৪৫৬টি। অন্যান্য পদে প্রাপ্ত ভোটের যোগফল কোনোভাবেই বৈধ ব্যালটের সঙ্গে মিলে না। যেমন, কার্যনির্বাহী মোট ভোট হওয়া উচিত ৫৬২১টি। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে পাওয়া যাচ্ছে মোট ভোট ৫৬৬৫টি। তাহলে অতিরিক্ত ৪৪টি বেশি ভোট কোথা থেকে এলো? এমনকি কোষাধ্যক্ষ পদে তিন প্রার্থীর মোট ভোট ৪৬৫টি, কিন্তু হওয়া উচিত ৪৬৯টি।

ওমর সানির দাবি, সমিতির সভাপতি শাকিব খান পদাধিকার বলে ভোট গণনার সময় উপস্থিত থাকতে পারেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন গণনার সময় জোরপূর্বক তাকে অফিস থেকে বের করে দেওয়া যা কোনোভাবেই কাম্য ছিলো না। বিকেলের দিকে অনেক শিল্পী ভোটার বিভিন্ন বাধার মুখে এফডিসিতে প্রবেশ না করতে পেরে ভোট না দিয়েই ফেরত চলে গেছেন। আমি মনে করি একটি পক্ষ নিজ স্বার্থে নির্বাচন বোর্ডকে প্রভাবিত করেছে। এমতাবস্থায় এই রকম অসঙ্গতিপূর্ণ ফলাফলে সম্পূর্ণ কারচুপির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে বলে এ ফলাফল বাতিল তথা নির্বাচন বাতিল করার আবেদন করছি।