ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গ্রন্থাগার নানা সমস্যায় জর্জরিত !
---
তৌহিদুর রহমান নিটল , ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারটি ১৯৯৩ সালে শহরের টি.এ (তোফয়েল আজম) রোডে প্রতিষ্ঠা করা হয়।পরে গত ২০১২ সালে স্থান পরিবর্তন করে কুমারশীল মোড় এলাকায় গণগ্রন্থাগারের জন্য নতুন আধুনিক ভবন নির্মাণ করা হয়। কিন্তু গ্রন্হাগারের মূল প্রাণই হচ্ছে পাঠক আর পাঠকদের জন্য অদ্যবধি কোন পাঠকক্ষ তৈরী করা হয়নি। মহিলা এবং পুরুষেরা পাশাপাশি একমাএ কক্ষে বসে বই পড়তে হচ্ছে। তাদের জন্য আলাদা কোন রিডিং রুম করা হয়নি।
গ্রন্থাগার সূএে জানা যায়,গড়ে প্রতিদিন এ গ্রন্থাগারে আনুমানিক দেড়শত মতো পাঠক বই, পত্র-পত্রিকা, ম্যাগাজিন পড়তে আসেন।তাদের জন্য আলাদা পাঠকক্ষ না থাকায় পাঠকের সংখ্যাটা দুইশর নীচে আটকে থাকে। তবে একতলা এ ভবনটি দোতলা করে আলাদা পাঠকক্ষ করা হলে পাঠকের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে তারা জানান। সূএ আরো জানায়, ৬০ টি সেলফে প্রায় ২৩ হাজারের বেশি বই রাখা থাকলেও প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা দুইশ পাঠক ও আসে না। ফলে হাজারো বই অপঠিতই থেকে যায়।
গ্রন্থাগারে বই পড়তে আসা কয়েকজন কথা হয় তারা বলেন,গত কয়েক বছর ধরে আমরা এই লাইব্রেরীতে বই পড়ছি। কিন্তু লাইব্রেরীতে নারী পাঠকের আনাগোনা খুবই কম যা আমাদের চোখে পড়ে। তাদের জন্য আলাদা কোন পাঠকক্ষ না থাকার কারণেই মূলত নারী পাঠকরা এ লাইব্রেরীতে কদাচিৎ আসেন।
বই পিপাসু পাঠক অবসর প্রাপ্ত আরেক কর্মকর্তা বলেন,গ্রন্থাগারটিতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মারাত্মক দৃষ্টিকটু লাগে।এর প্রধান ফটকের পাশেই ময়লার বড় ভাগাড়। তীব্র দুর্গন্ধের কারণে এর পাশ দিয়ে যেতে হয় নাকে রুমাল চেপে।তাছাড়া গ্রন্থাগারটির সীমানা প্রাচীর খাটো হওয়ায় ভবঘুরে লোকজন এর ভেতরে ঢুকে পড়ে।এতে করে গণগ্রন্হাগারের আশা পাঠকরা নিরাপওা হীনতায় ভোগেন।
এসব বিষয়ে গ্রন্থাগারিক সাইফুল ইসলাম রিমন বলেন, ভবনটি দোতলা করে সেখানে একটি পাঠকক্ষ নির্মাণসহ এর সীমানা প্রাচীর উঁচু করতে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে ইতোমধ্যে আবেদন করা হয়েছে। তাছাড়া পাঠকের চাহিদা অনুযায়ি সাহিত্য, উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ, রম্যরচনা, শিশু সাহিত্য,মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলন বিষয়ক বই,বিশ্বকোষ,ধর্মীয় বই, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় ইতিহাস-ঐতিহ্যের উপর বইয়ের সরবরাহ আরো বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।