দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চলমান উত্তর কোরীয় পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি মোকাবেলায় এ অঞ্চলের যুদ্ধাবস্থা উত্তেজনার মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ায় বিতর্কিত থাড ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মোতায়েনকৃত এসব ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সিস্টেম উত্তর কোরীয় আক্রমণ প্রতিহত করে দেয়ার জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে বলে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা- বিবিসি জানাচ্ছে।
তবে এতে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে থাড ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পরিবহণকালে স্থানীয় কয়েকশ বাসিন্দা বিক্ষোভ করেন। চীন হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলছে, থাড এই অঞ্চলের নিরাপত্তাকে অস্থিতিশীল করে তুলবে।
বেইজিং বলছে, ওয়াশিংটনের এমন সিদ্ধান্ত উত্তর কোরিয়াকে তেমন প্রভাবিত করতে পারবে না। দক্ষিণ কোরিয়ার ভূমিতে ‘থাড’ মোতায়েনে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে উল্লেখ করে এর আগে রাশিয়া এবং চীন বলেছে, এর বিরুদ্ধে তারা সম্মিলিত অবস্থান জোরদার করবে।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিন ইউএসএস মিশিগান দক্ষিণ কোরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলে পৌঁছায়। সাবমেরিনটি এ অঞ্চলে আগত মার্কিন বিমানবাহী রণতরী কার্ল ভিনসনের সঙ্গে যুক্ত হতে প্রস্তুত রয়েছে বলে মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছে।
পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও ইউএসএস মিশিগানে ১৫৪টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র, ৬০ জন বিশেষ প্রশিক্ষিত সেনা এবং কয়েকটি মিনি-সাবমেরিন রয়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ান এক সংবাদপত্র জানিয়েছে। মার্কিন শক্তি প্রদর্শনের অংশ হিসেবে কার্ল ভিনসনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইউএসএস মিশিগান কোরিয়া উপদ্বীপে সামরিক মহড়া চালাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছে, রণতরী কার্ল ভিনসন নির্দেশ অনুসারে কোরিয়ার দিকে যাত্রা করেছে।
তবে পিয়ংইয়ং কোরিয়া উপদ্বীপে যে কোনও সামরিক মহড়াকে আগ্রাসন বলে মনে করে। প্রতিক্রিয়ায় তারা এর আগে হুমকি দিয়েছে, ‘মার্কিন আগ্রাসন রুখতে প্রয়োজনে রণতরী ডুবিয়ে দেওয়া হবে।’ এছাড়া দেশটি তাদের পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র পুঙ্গি-রিতে কর্মকাণ্ড জোরদার করেছে এবং তারা যেকোনো সময় পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর জন্যে প্রস্তুত। বিবিসি।