বিজয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক দু,টি মামলা
আমিরজাদা চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী ও স্ট্যাম্প আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক ২টি মামলা হয়েছে। মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল হক বকুলকে আসামী করা হয়। আদালত মামলা ২টি পিবিআই ( পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেষ্টিকেশন) কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রামের মোঃ মহেব আলীর কন্যা মোছাম্মত সাফিয়া বেগম বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দন্ডবিধির ৩৮৫/৫০৬ (২) ধারায় আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী সাফিয়া বেগম উল্লেখ করেন, তার ভাই মোঃ লিটন মিয়া কাতারে চাকুরী করে। সে এলাকার অনেক লোককে কাতারে নিয়ে চাকুরীও দিয়েছে। মহেব আলীর চাচাত ভাই মোঃ আহম্মদ মিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বকুলের বাড়িতে এসে তার ছেলে সোহাগ মিয়াকে কাতারে নিতে হেলাল মিয়ার পুত্রকে কাতারে নেয়ার জন্য শর্ত দেয়। সোহাগ মিয়া মহেব আলীর ভাতিজা হওয়ায় মহেব আলীর ছেলে লিটন মিয়ার টাকা কাতারে গিয়ে চাকুরী করে প্রদান করবে। বর্তমানে কাতার যাওয়ার জন্য টিকেট কাটতে হবে। ২০১৬ সালের ২৯ জানুয়ারী সোহাগ মিয়া কাতার যায় এবং সেখানে চাকুরী করে। পরবর্তীতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পিতা আহম্মদ মিয়া মহেব আলীর ছেলে লিটন মিয়াকে জানালে লিটন মিয়ার পিতা মহেব আলীর নিকট থেকে একশত টাকা মূল্যের স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার নামা নেয়। এতে উল্লেখ করা হয় সোহাগ দেশে আসার পর মহেব আলীর ছেলে লিটন মিয়া ভিসা বাবাদ এক লক্ষ টাকা এবং সোহাগ মিয়া ও মোঃ আহম্মদ মিয়া মহেব আলীকে দিয়ে দেবে। তবে সোহাগ মিয়া দেশে এসে কোন অভিযোগ করতে পারবে না। লিখিত স্ট্যাম্পে আহম্মদ মিয়া এবং মহেব মিয়া দরখাস্ত প্রদান করে। পরবর্তীতে লিখিত স্ট্যাম্পটি মোঃ আহম্মদ মিয়ার আত্মীয় আব্দুল্লাহ, পিতা মৃত নুর আলীর কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মহেব আলীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা হয়। মামলা নং-পি-২৫১/২০১৭ইং ধারা-ফৌজাদরী কার্যবিধী ৯৮। মামলা দায়ের করার পর আদালত বিজয়নগর থানা পুলিশকে চার্জ ওয়ান্টের নির্দেশ দেন। বিজয়নগর থানা পুলিশ আদালতে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুলের কাছে স্ট্যাম্পটি জমা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। বিজ্ঞ আদালত পুলিশ ব্যুরো অফ ইভেস্টিকেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুলের বিরুদ্ধে আড়িয়ল গ্রামের মোঃ নিয়াজ উদ্দিনের স্ত্রী ফরচান বেগম বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় বকুলসহ ৫ জনকে চাঁদাবাজির মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। এতে জিয়াউল হক বকুলকে ৫ নং আসামী করা হয়। আদালত এ মামলাটিও পুলিশ ব্যুারো অফ ইনভেস্টিকেশন(পিবিআইকে) নির্দেশ দিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল হক বকুল তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাকে হেয় করার জন্য একটি পক্ষ মিথ্যা দিয়ে হয়রানীর চেষ্টা করছে।