বাঞ্ছারামপুরে প্রধান শিক্ষিকার এইচএসসিতে ৩ সনদ ! সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের
---
ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর : বাঞ্ছারামপুরে প্রধান শিক্ষিকার এইচএসসিতে ৩ সনদ! সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষেরব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় দেলোয়ারা বেগম নামের এক প্রধান শিক্ষিকার এইচএসসির ৩টি সনদ থাকার সংবাদ সম্প্রতি জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল “আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডট কম” প্রকাশিত হলে তা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়।পএিকাটিতে প্রকাশিত খবরের সত্যতা ও পায় তদন্ত কমিটি তখন তারা অভিযুক্ত শিক্ষিকা দেলোয়ারা বেগমকে আজ রবিবার সাময়িক বরখাস্ত করার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নওশাদ মাহমুদ। দুপুরে এ সিদ্ধান্তকে কার্যকরী করার জন্য নিয়মতান্ত্রিক ভাবে প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের দার্য়িত্বর তরা রেজ্যুলেশন তৈরী করেন বলে নির্ভয়যোগ্য সূএে জানা যায়। প্রসঙ্গত, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সরিষারচর নতুনহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে বিগত বছরের প্রহেলা নভেম্বর এইচএসসি সনদ জালিয়াতির অভিযোগ দেয় এলাকাবাসী। এতে বলা হয়, সরিষারচর-নতুনহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ারা বেগম এইচএসসি পরীক্ষার জাল সনদ দিয়ে প্রধান শিক্ষকের পদোন্নতি পান। সেই সময় বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো :ইব্রাহিম মিয়া ট্রেনিংয়ে জন্য ছুটিতে থাকায় শিক্ষিকা দেলোয়ারা বেগম নিজে বানানো ভুয়া সার্টিফিকেট জমা দেন এবং নিজেই প্রধান শিক্ষকের চেয়ার দখল করেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নওশাদ মাহমুদ অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পান। তিনি গত ২৩ নভেম্বর ইউএনও বরাবর জমা তদন্ত রির্পোট জমা দেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তদন্ত প্রতিবেদনটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিকের বরাবর যাচাই-বাছাই ও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দেওয়া হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রেরণ করা হলেও তা নিয়ে অনৈতিক লেনদেন করে দেলোয়ারা বিষয়টি ধা
আরাল করার চেষ্টা করে। “আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডট কম” সংবাদটি গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করলে কর্তৃপক্ষের আবারো নজরে আসে।