পুরুষের বিছানা গরম করাই তার পেশা
---
অনলাইন ডেস্ক: তিনি প্রফেশনাল ‘বেড ওয়ারমার’! ঠিকই পড়লেন। সাদামাটা বাংলায় বললে ব্যাপারটা এই রকম, বিছানা গরম করাই তার পেশা। এমন পেশাও যে কারো রুজিরুটি উপার্জনের উপায় হতে পারে, তা প্রমাণ করলেন ২১ বছরের ভিক্টোরিয়া ইভাচিওনা। রাশিয়ার এই তরুণীই নিজেকে নিযুক্ত করেছেন ‘সিঙ্গল’ পুরুষদের বিছানা গরম করার কাজে।
তবে, এই কাজের জন্য বেশ কিছু শর্ত রয়েছে তার। শর্তগুলো হলো-
১. এক ঘণ্টা সময় নেন ভিক্টোরিয়া এই কাজের জন্য।
২. কাজের সময় তাকে কেউ ছুঁতে পারবে না।
৩. এই মুহূর্তে তার বেশিরভাগ ক্লায়েন্টই পুরুষ, এবং তারা সিঙ্গল। তবে, নারী ক্লায়েন্টও আপত্তি নেই তার।
৪. কাজের সময় ক্লায়েন্ট ঘরে উপস্থিত থাকতেই পারেন। গল্প করতে কিংবা কথা বলতে পারেন ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে। এমনকী, ব্যক্তিগত সমস্যার কথাও ভাগ করে নিতে পারেন তার সঙ্গে।
এবার আসা যাক ভিক্টোরিয়ার কাজের কথায়। রাশিয়ার তাপমাত্রা শীতকালে নেমে যায় মাইনাস ৩০ ডিগ্রিতে। এমন অবস্থায় সারাদিনের ক্লান্তি মেটাতে একটা গরম বিছানা প্রায় সকলেরই কাম্য। আর সেই সমস্যার সমাধান দিতেই আবির্ভাব ভিক্টোরিয়া ইভাচিওনার।
ভিক্টোরিয়া ইভাচিওনা
তার ওয়েবসাইটে গিয়ে সময় বুক করে দিলেই সময়মতো ক্লায়েন্টের বাড়ি পৌঁছে যান ভিক্টোরিয়া। তার পর একটি ঘণ্টা লেপ-কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেন ক্লায়েন্টের বিছানায়, যাতে বিছানাটি বেশ গরম হয়ে যায়। এই সময়ে নানা গল্প হয় তার ক্লায়েন্টের সঙ্গে।
তবে, কেউ যদি শর্ত না মেনে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন, তার জন্যও ব্যবস্থা রয়েছে। ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে থাকেন তার সিকিউরিটি দলও। অসুবিধায় পড়লে সঙ্গের ‘প্যানিক বাটন’ টিপলেই উপস্থিত হন ‘বাউন্সার’রা।
রাশিয়ার এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভিক্টোরিয়া জানান, তিনি শুধুমাত্র গরম বিছানাই ছেড়ে আসেন না তার ক্লায়েন্টদের জন্য। তার সঙ্গে থাকে ‘পজেটিভ এনার্জি’ও। এক রাতে কাজের জন্য প্রায় ৪৯০০ রুবল নেন ভিক্টোরিয়া। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৬৬১৫ টাকা।
এই মুহূর্তে ১০ জন কাস্টমার রয়েছেন ‘প্রফেশনাল বেড ওয়ারমার’ ভিক্টোরিয়া ইভাচিওনার। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে হই হই করে বাড়ছে তার ক্লায়েন্টের সংখ্যা।