ভোরের সাথীদের রাতের কলরব : নিবন্ধন প্রাপ্তির আনন্দ উচ্ছ্বাস
নিজস্ব প্রতিনিধি : ভোরের সাথী, একত্রে বিচরণে ভ্রমণে আন্তরিক আলাপনে তারা প্রতিদিন নিবিঢ় বন্ধনে। ভোরের পাখীর মতোই ভোরের সাথী। কালো আঁধার কাটলেই জেগে উঠে ভোরের পাখীরা যেমন মুখরিত করে পরিবেশ, তেমনই তারাও। একত্রিত হয় একই স্থানে। ফেলে আসা দিনের সকল হতাশা দুঃখ যন্ত্রণা ভুলে প্রত্যাশা করে আগামীর সুখময় দিন, সুন্দর সময়। রাত কাটিয়ে জেগে উঠা সূর্যের মিষ্টি রোদ্দুর তাদের মনে জাগায় নতুন আশার আলো, সেই আলোয় ভোরের নির্মল বিশুদ্ধ বাতাস আর পরিবেশে তারা নিজেদের বিলিয়ে দেয়। নিজেরা জেগে উঠে তারা জাগিয়ে দেয় অন্যদের। ভ্রমণে আনন্দে কাটে স্বর্ণালী সময়। পড়ন্ত বয়সে কেউ, কেউ যৌবনে, তারুণ্যে, নবীনদের অনেকেই, ভেদাভেদ নেই, একই পরিচয় ভোরের সাথী। একে অপরের সুখে হাসে তারা, দুঃখে হয় সমব্যথী। উৎসবে সুখে দুখে আনন্দ আয়োজনে , এমনকি শেষ সময়ে শশ্মান গোরস্থানে, আত্মার আত্মীয় হয়ে থাকে তারা। প্রত্যয় সকলের এমনই যে যতদিনই বাঁচি , থাকবো একত্রিত একে অপরের মনের কাছাকাছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনাথ দিঘীর চারপাশ এই সাথীদের ভীরে মুখরিত হয় ভোর। ভ্রমণে পরিশ্রমে ক্লান্তি অবসাদে থাকে নানা খোঁজখবরে। ২০০১ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে প্রতিদিনের দেখা এই শহরের নানা বয়সী নাগরিক ভোরব্রাজকদের সংগঠন ভোরের সাথী। গত ৪ ফেব্রুয়ারী শনিবার ছিল এই সংগঠনের মাহেন্দ্রক্ষণের আনন্দ আয়োজন। “রেজিষ্ট্রেশনের মাহেন্দ্রক্ষণে, আনন্দ সব সাথীদের মনে” এই শ্লোগানে ভোরের সাথীরা সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত নানা কলরবে আনন্দ উচ্ছাসে মিলিত হয় তাদেরই প্রিয় স্থানে। লোকনাথ দিঘীর উত্তর পাড়ে জমে উঠে তারার মেলা, সঙ্গীতের মূর্চ্ছনায় নেচে গেয়ে খেয়ে আনন্দঘন এক পূর্নমিলনী। ভোরের সাথী সংগঠনটি সরকারী ভাবে নিবন্ধিত সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, সমাজসেবা বিভাগের সরকারী নিবন্ধন নম্বর ৫৬৯/১৭ পেয়ে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠে সবাই।
নিবন্ধিত ২শত ২৫ জন সদস্য সহ অতিথিদের আনন্দঘন পূর্নমিলনী অনুষ্ঠানে হয় নানা কর্মসূচী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে আসেন নগর প্রধান পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর। সংগঠনের সভাপতি মোঃ নাজমুল হক , সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল আলম সহ সদস্যরা নগর প্রধান অতিথি সহ অতিথিদের ফুলেল শুভ্চ্ছো জানান। প্রবাস ফেরৎ ইকবালের পরিচালিত ভোজনবিলাস, আর সঙ্গীত শিল্পীদের সঙ্গীতে গোটা অনুষ্ঠানে ছিল আনন্দের জোয়ার। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও সংগঠনের সদস্য আনিছুল হক রিপনের সঞ্চালনায় ব্যতিক্রমধর্মী সঙ্গীতে সবাইকে আনন্দ দেয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিল্পী ভাটপাড়া গ্রামের হেলাল মিয়া সহ তার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরিবারের শিল্পীরা। প্রধান অতিথি পৌর মেয়র এই আনন্দঘন পরিবেশ , নাগরিকদের মাহেন্দ্রমিলনের ভ’য়সী প্রসংশা করে এই সংগঠনের ঐক্যবদ্ধতা আগামীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।