সোমবার, ৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ইং ২৪শে মাঘ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

তলানির দিকে যাচ্ছে পুঁজিবাজার

AmaderBrahmanbaria.COM
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৭

দেশের পুঁজিবাজার মুদ্রানীতি ঘোষণার পর থেকেই তলানির দিকে যাচ্ছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববারও সূচকের নিন্মমুখী প্রবণতার মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে পাশাপাশি লেনদেন ও সূচক কমেছে। ১২ দিন আগে পুঁজিবাজারে ২ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সেখানে লেনদেন হয়েছে ৬৭৭ কোটি টাকা।
এদিকে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, যারা দীর্ঘদিন পরে যারা পুঁজিবাজারে ফিরে এসেছিলেন তাদের অনেকেই আতঙ্কে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। গত কয়েক দিন ধরে একটানা কমেছে পুঁজিবাজারে সূচকও লেনদেন। এদিকে গত ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে গভর্নর ফজলে কবীর ঘোষণা করেন, পুঁজিবাজার বিরাজমান মন্দা থেকে বেরিয়ে আসায় এক ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী বাজার যাতে কর্তৃপক্ষের সুদৃঢ় নিয়ন্ত্রণে থাকে এ বিষয়ে কার্যকর নজরদারি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সতর্কতা হিসেবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর কঠোর নজরদারি রয়েছে। এ ঘোষণার পরেই বাজারে বড় ধরনের দরপতনের ঘটনা ঘটে। ৫ দিনের ব্যবধানে ডিএসইতে প্রায় ৩০০ পয়েন্ট কমেছে সূচক।
জানা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কয়েক দিনের ব্যবধানে লেনদেন ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছিল। যা গত ২ মাস আগেও ছিল ৩০০ কোটি টাকার ঘরে। এই সময় বৃহৎ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের বেশি হাতবদল হয়। যার প্রভাব পড়ে বাজার লেনদেনেও। তবে বাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটানা দর বৃদ্ধির পর কিছুটা সংশোধন হয়েছে। বাজারে শঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। জানতে চাইলে ডিএসই পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, এই সময় ব্যাংকের ডিভিডেন্ড ঘোষণার সময় চলে এসেছে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বাজারে যে মন্দাভাব ছিল ব্যাংকের সুদহার কমে যাওয়ায় অনেকেই বাজারে ফিরে এসেছেন। ফলে শেয়ার লেনদেন বেড়েছে। আবার কিছুটা কমেছেও। তবে এটা থাকবে না। আমার ধারণা, দ্রুত এটা ফের ইতিবাচক ধারায় ফিরবে।
রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪২ পয়েন্ট কমে দাড়িয়েছে ৫ হাজার ৩২২ পয়েন্টে। যা আগের কার্যদিবসে ১০৯ পয়েন্ট কমেছিল।
ডিএসইতে ৬৭৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগেরদিন ছিল ৭৪৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ৬৮ কোটি ২ লাখ টাকা।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৮টি কোম্পানির মধ্যে ২২৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। অন্যদিকে দাম বেড়েছে ৮০টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টি কোম্পানির।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ৯৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৯৬৮ পয়েন্টে। সিএসইতে ৪১ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪৭টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ১৮০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টির।