সোমবার, ৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ইং ২৪শে মাঘ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

তবে কি শশিকলাই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী

AmaderBrahmanbaria.COM
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তামিলনাড়ুর সিংহাসন ঘিরে নাটক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে আজ রবিবার। আজ এডিএমকে দলের বিধায়করা গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, আজকের বৈঠকে পনীরসেলভমকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদে নতুন সাধারণ সম্পাদক শশিকলা নটরাজনের অভিষেকের সিদ্ধান্ত হতে পারে।

আশির দশর থেকেই তামিলনাড়ুর প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার ছায়াসঙ্গী শশিকলা। সেই সুবাদে দলীয় কোনো পদে না-থাকলেও প্রভাব কিছু কম ছিল না। জয়ললিতার মৃত্যুর পরও তার মরদেহ আগলে রেখেছিলেন শশিকলা। উত্তরসূরি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে তাই বেগ পেতে হয়নি।

এডিএমকে সূত্রে জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী পদের লক্ষ্যে গত কয়েক দিনে দল ও প্রশাসনে নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়েছেন শশিকলা। দলে বিশ্বস্তদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন, যাদের অনেককেই জয়ললিতা পছন্দ করতেন না। আবার প্রশাসনে জয়ার আস্থাভাজন বলে পরিচিত তিন আমলাকে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সরিয়ে দিয়েছেন।

তামিলনাড়ুর রাজনীতিকরা মনে করছেন, নিজের কর্তৃত্ব নিরঙ্কুশ করতেই শশিকলা এডিএমকের সাধারণ সম্পাদকের পর মুখ্যমন্ত্রীর গদিতেও বসতে চাইছেন। কারণ জয়ললিতার ভাইয়ের মেয়ে দীপা জয়কুমার নিজেকে জয়ললিতার প্রকৃত উত্তরসূরি হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন। তিনিও এডিএমকের বেশ কিছু নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। জয়া আম্মাকে নিয়ে আবেগের ফায়দা দীপা তুলতে পারেন ভেবে দল ও সরকারের রাশ পুরোপুরি নিজের হাতে নিতে চাইছেন শশিকলা।

এদিকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শশীকলার পক্ষে সায় রয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের। বিজেপি সূত্রের খবর, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও শশিকলার সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। জয়ললিতার শেষকৃত্যে গিয়ে শশিকলার মাথায় হাত রেখে সান্ত্বনা জানাতে দেখা গিয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে।

এডিএমকে সূত্রে জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী পদে শশিকলার উত্থানে বাধা আসার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ দলের একটা ছোট অংশ তার বিরোধী। এই অংশটি মনে করেন, শশিকলার সঙ্গে তার স্বামী এম নটরাজন ও পরিবারের অন্য সদস্যদেরও এ বার দলে প্রত্যাবর্তন ঘটবে। অতীতে দুইবার শশিকলাকে দল থেকে তাড়িয়েছিলেন জয়ললিতা। পরে শশিকলা নিজের পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে ফের জয়ললিতার ঘনিষ্ঠ মহলে ফিরে আসেন। স্বামী ও পরিবারের বাকিদের এডিএমকের দপ্তর বা পয়েজ গার্ডেনে জয়ললিতার বাড়ির চৌকাঠ মাড়ানোও মানা ছিল। কিন্তু জয়ললিতার শেষকৃত্যের সময় শশিকলার পাশে তার পরিবারের কয়েক জনকেও দেখা যায়।

পনীরসেলভম ও শশিকলা— দুইজনই তামিলনাড়ুর প্রভাবশালী থেবর সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। কিন্তু পনীরসেলভমের দিক থেকে শশিকলার উত্থানে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর আশঙ্কা বিশেষ নেই। কারণ শশিকলার চাপেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তিন আমলাকে সরিয়েছেন। এর মধ্যে জয়ললিতার উপদেষ্টা শীলা বালকৃষ্ণন নিজেই সরে গিয়েছেন। জয়ললিতা হাসপাতালে থাকার সময় এই আমলাই গোটা প্রশাসন একা হাতে সামলেছিলেন।