বাজেট অধিবেশন বয়কট করছে তৃণমূল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :আগামী ফেব্রুয়ারিতে সংসদের বাজেট অধিবেশন বয়কট করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশের দিনেই পড়েছে বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা। কিন্তু দল পূজাকেই বেশি গুরুত্ব দিতে চায়। তাই ১ ফেব্রুয়ারি সংসদের বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। সোমবারই কালীঘাটে দলের প্রধান মমতা ব্যানার্জির বাড়িতে দলের সংসদীয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তবে সরস্বতী পূজা নয়, সংসদের বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত না থাকার পিছনে রয়েছে দুইটি কারণ। তা হল নোট বাতিল এবং সিবিআই’এর হাতে তৃণমূলের সংসদ সদস্যদের আটকের ঘটনা। এদিনই দলের পক্ষে একটি সরকারি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় ‘সংসদে আলোচনা না করেই নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে এবং ব্যাংক থেকে রুপি তোলার উর্ধ্বসীমা এখনও পর্যন্ত তুলে নেয়া হয়নি। তাই এই ঘটনার প্রতিবাদে বাজেট অধিবেশনের প্রথম দুই দিন তৃণমূলের সংসদ সদস্যরা সংসদে উপস্থিত থাকবেন না’।
ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয় ‘লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দোপাধ্যায়, রাজ্যসভার সাসপেন্ডেড সংসদ সসদ্য কুনাল ঘোষকে বেআইনিভাবে আটক করা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করে সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে তাদেরকে আটক করেছে।
অন্যদিকে দলের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য কল্যাণ ব্যানার্জিও জানান, নোট বাতিল থেকে শুরু করে সংসদ সদস্যদের আটকের প্রতিবাদেই আগামী ৩১ জানুয়ারী ও ১ ফেব্রুয়ারি এই দুই দিন বাজেট অধিবেশনে না থাকার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন আগে ট্যুইটে মুখ খোলেন মমতাও। তিনি লিখেন ‘১ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজা। রাজ্যে সরকারি ছুটি। আমরা স্কুল, কলেজ, বাড়ি, ক্লাবে বড় করে সরস্বতী পূজা করে থাকি। ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করার পরিবর্তে আমরা কেন বড় করে সরস্বতী পূজা পালন করবো না। আমরা সরস্বতীর বন্দনা করবো আপনার (মোদি)-র বন্দনা করবো না’। মমতার ওই মন্তব্যের পরই একটা জল্পনা ছিল বাজেট অধিবেশনে তৃণমূল উপস্থিত নাও থাকতে পারে। কার্যক্ষেত্রে তাই হল। এর আগে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমার এবং লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের ডাকা দুইটি সর্বদলীয় বৈঠকও বাতিল করে তৃণমূল।