রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ছাড়া ইসলামী ব্যাংকের কারও চাকরি যাবে না : আরাস্তু খান
নিজস্ব প্রতিবেদক : ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান আরাস্তু খান বলেছেন, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ছাড়া ইসলামী ব্যাংকের কারও চাকরি যাবে না। তবে সরাসরি রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা থাকলে কিংবা ব্যাংকের অর্থ রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক রদবদল বিষয়ে তিনি বলেন, এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়েছে। যারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করবে তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
আরস্তু খান জানান, ‘আই স্যাল অ্যাসিউর দেম। আমরা ইউচ হানটিং করে কারো চাকরি খাবো না। কারণ ব্যাংকটি ভালো করছে। কর্মকর্তারাও ইফিসিয়েন্টলি কাজ করছেন। যদি পলিটিক্যাল কোনো সম্পৃক্ততা থাকে বা সাবভারসিভ (নাশকতামূলক) কোনো কাজে জড়িত হয় তাহলে আমরা তাকে কোনোভাবেই অ্যালাউ করবো না।’
‘তবে আমি ইউচ হান্টিং পছন্দ করি না। কারও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে ছাড় নয়। যদি দেখা যায় পলিটিক্যাল অ্যাসপিরেশন আছে। আমরা এটা চাই না। আমরা প্রফেশনাল লোক চাই। এখানে প্রফেশনাল কাজ হবে। ইউ হ্যব টু বি এ প্রফেশনাল। ইউ আর ডুং প্রফেশনাল জব। সবাই প্রফেশনাললি কাজ করবে’ -বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে ব্যাংকটির এ নতুন চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হয়নি। এটা চেইঞ্জ অব গার্ডস। জানুয়ারি আসলে ব্যাংকে পরিবর্তন হয়। খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনি তো ভোট দেন। কেউ আওয়ামী লীগে, কেউ বিএনপিতে ভোট দেয়। কিন্তু আমরা চাই না এর রিফলেকশন ব্যাংকে আসুক। ধরুন কেউ যদি টাকা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অন্য জায়গায় পাঠায় সেটা তো ঠিক হবে না।’
তবে ভয়ের কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে আরস্তু খান বলেন, ‘নো ফিয়ার টু ওয়ার্ক ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটি কোয়ালিটি কাজ করছে। তাদের অনেস্টি নিয়ে আমার প্রশ্ন নেই। আমার মনে হয় কারো নেই। ইট হ্যাজ গুড কোয়ালিটি। আমরা সামনের বছর আরও ভালো টার্গেট দিয়েছি। আশা করছি আরও ভালো হবে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোনো শঙ্কা নেই। ইসলামী ব্যাংক সলিডলি ইউনাইটেড। সবাইকে নিয়ে বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ব্যাংকের অগ্রগতি থমকে যাওয়ার সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে শেয়ার মার্কেটে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার মূল্য বেড়েছে।’
আরাস্তু খান বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন ব্যাংকটির অবস্থা কী। আমি বলেছি ব্যাংকটি খুবই ভালো চলছে। এর ফিন্যান্সিয়াল অবস্থা খুবই ভালো। ২ হাজার ৩ কোটি টাকা গত বছরের প্রফিট। তাদের ২৭ শতাংশ রেমিট্যান্স। নন-পারফরম্যান্স লোন সাড়ে ৩ শতাংশ। ডিপোজিট টু ইনভেস্টমেন্ট রেশিও ৮৮ শতাংশ। ভেরি ইমপ্রেসিভ নাম্বার। খুবই ভালো অবস্থা ব্যাংকের।’