কসবায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি বড় উৎসব
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে হ্ন্দিু সম্প্রদায়ের একটি বড় উৎসব। কুটি বাজারের শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেব মন্দির প্রাঙ্গনে শুক্রবার শ্রীশ্রী বিশ্বমঙ্গল হরিনাম সংকীর্ত্তন মহাযজ্ঞ উৎসব শুরু হয়। এটি ছিলো তাদের ১০৬ তম বার্ষিক মহোৎসব। পরদিন সন্ধ্যায় মন্দিরে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন এই উৎসব বন্ধ করে দেয়। কসবা উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসিনা ইসলাম ওইদিন সন্ধ্যা থেকে অনিদিষ্টকালের জন্য সেখানে ১৪৪ ধারা জারী করেন।
এর ফলে ১৩দিন ব্যাপি অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এতে হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার লোকের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আয়োজকরা জানিয়েছেন- ২২ লাখ টাকা খরচ করে তারা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। সাজসজ্জাতেই খরচ করেছেন সাড়ে ৫ লাখ টাকা। প্রতিদিন উৎসবে ৮/৯ হাজার লোকের সমাগম হওয়ার কথা ছিলো। তাদের সবার প্রসাদের আয়োজন করা হয় আয়োজকদের পক্ষ থেকে। শুক্রবার ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেশানন্দ উৎসবের উদ্ধোধন করেন। এদিন ভারতের একটি সাংস্কৃতিব দলও অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্নস্থানের কয়েক হাজার লোকের সমাগম হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাড়াও নারায়নগঞ্জ,সিলেট,কুমিল্লা,চাদপুরসহ দেশের বিভিন্নস্থানের হাজার হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বীর প্রতিদিনের উৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা ছিলো।
কুটি জগন্নাথ দেব মন্দিরের সাধারন সম্পাদক সেবক রায় বলেন- ১০৬ বছরের মধ্যে এই প্রথম তাদের উৎসব বাধাগ্রস্ত হলো। উৎসব চালু অবস্থায় প্রশাসন সেটি বন্ধ করে দিয়েছে। এর পেছনে এলাকার এক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির ফুফাতো ভাইয়ের হাত রয়েছে বলে সেবক রায় অভিযোগ করেন। তিনি আরো জানান- মন্দির পরিচালনা কমিটির সাবেক এক সভাপতি এলাকার প্রভাবশালী মুসলমান লোকদের নিয়ে এসব করছেন। সে এরআগে ২২ বছর এই মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন। তার কর্মকান্ড সুবিধের না হওয়ায় তাকে সরিয়ে দেয়া হয়। তিনি বলেন শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা এসে ১৪৪ ধারা জারী করা হয়েছে জানিয়ে উৎসব বন্ধ রাখতে বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিটি নিয়ে ভেতরগত বিরোধ ছিল। কিন্তু উৎসব বন্ধ রাখতে হবে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এতে সবার মন ভেঙ্গে গেছে। আমাদের অনেক টাকা লোকসান হবে।
উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা হাসিনা ইসলাম বলেন একটি পক্ষ শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ করতে চায়। সে কারণে ওসির কাছ থেকে পাওয়া প্রতিবেদন অনুসারে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।