বৃহস্পতিবার, ১২ই জানুয়ারি, ২০১৭ ইং ২৯শে পৌষ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়  একই চেয়ার দুইজন দাবীদার

AmaderBrahmanbaria.COM
জানুয়ারি ৮, ২০১৭

বিশেষ প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জনের পদটি এখনো আকড়ে ধরে আছেন জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. শাহআলম (ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন)। তিনি জেলার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।

গত ১১ দিন ধরে তিনি জেলা স্বাচিপের নির্দেশে জোরপূর্বক সিভিল সার্জনের পদ দখল করে রাখায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশ থাকা সত্বেও দায়িত্ব নিতে পারছেন না ডা. আবু ছালেহ্ মো. মুসা খান।

তবে দায়িত্ব বুঝে নিতে ডা. মুসা খান নিয়মিতই যাচ্ছেন সিভিল সার্জন অফিসে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সংগঠন ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে না। এতে করে গত এক সপ্তাহ ধরে সিভিল সার্জন অফিসসহ জেলার স্বাস্থ্য বিভাগে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিযে জানা যায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু ছালেহ্ মো. মুসা খানকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জনের চলতি দায়িত্বের আদেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে ৩১/১২/২০১৬ইং তারিখের পর তাকে যোগদান করতে বলা হয়। কিন্তু ২৯ ডিসেম্বর অবসরজনিত ছুটিতে যাওয়া সিভিল সার্জন হাসিনা আকতার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং জেলা স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. শাহআলমকে।

মন্ত্রণালয়ের আদেশ নিয়ে মুসা খান ১ জানুয়ারি সিভিল সার্জন অফিসে যোগদান করতে গেলে শুরু হয় টালবাহানা।
দায়িত্বে থাকা সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম মুসা খানের কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে নিজের দখলে রাখেন চেয়ার। ফলে ২ জানুয়ারিই স্বাস্থ্য সচিবের কাছে যোগদানপত্র পাঠিয়ে দেন ডা. মুসা খান।

তবে রোববার পর্যন্ত ডা. মুসা খানকে সিভিল সার্জনের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। স্বাচিপ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত না থাকা ও ড্যাবের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে মুসা খানকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে না।

অন্যদিকে, চেয়ার দখলে রাখা ডাক্তার মো. শাহআলম গত ২৯ ডিসেম্বর দায়িত্ব নেয়ার পর রোববার (৮ জানুয়ারি) পর্যন্ত ১১ দিনের মধ্যে অফিস করেছেন মাত্র একদিন। তবে ডা. মুসা খান তার চলতি দায়িত্ব বুঝে নিতে নিয়মিত যাচ্ছেন সিভিল সার্জন অফিসে।