যৌনজীবন নিয়ে টেলিমুভি শেন ওয়ার্নের
স্পোর্টস ডেস্ক :অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি স্পিনার শেন ওয়ার্নের নারী–প্রীতি নিয়ে গল্পের শেষ নেই। অভিযোগও উঠেছে অনেকবার। এবার সে সব কাহিনী উঠে আসছে ছোটপর্দায়। অস্ট্রেলিয়ার চ্যানেল সেভেনে আগামী বছরের শুরুতেই প্রচার হবে পূর্ণাঙ্গ টেলিমুভিটি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী চ্যানেল নাইনের সঙ্গে পাল্লা দিতেই এমন এক অনুষ্ঠান তৈরির পরিকল্পনা বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যমগুলো।
প্রতিদিন প্রায় ৪ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ চ্যানেল সেভেন দেখেন। তাই চ্যানেল নাইনের সঙ্গে এই প্রতিযোগিতা যে জমে উঠবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। শেন ওয়ার্ন চ্যানেল সেভেনের ক্রীড়া ভাষ্যকার হিসেবে কাজ করেন। অবসরের আগে এবং পরে তঁার বান্ধবী এবং যৌনজীবন নিয়ে মিডিয়া সব সময়ই ঝঁাপিয়ে পড়ত। অনেক সময় তঁার মাঠের পারফরমেন্সের চাইতে এ সব খবর মিডিয়ায় বেশি আসত। কিন্তু মিডিয়ার আর কী দোষ? ওয়ার্নের মতো প্রেমকুমার ক্রিকেট জগতে আর ক’জন আছে?
১৯৯৫ সালে সিমন ক্যালাহানেকে বিয়ে করেছিলেন ওয়ার্ন। তবে সেই বিয়ে টিকেছিল ২০০৫ সাল পর্যন্তই। এই এক দশকের দাম্পত্যে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে একের পর এক প্রেম করে চলেন ওয়ার্ন। এমিলি স্কট ও এলিজাবেথ হার্লির মতো তারকাদের সঙ্গে নাম জড়ায় তঁার। এমনকি বিচ্ছেদের আগে ২০০০ সালে শেন ওয়ার্নের বিরুদ্ধে অশ্লীল বার্তা পাঠানোর অভিযোগ করেছিলেন ব্রিটিশ নার্স ডোনা রাইট। সিমনের সংসারে এখন ছেলে জ্যাকসন এবং ব্রুক ও সামার নামে দুই মেয়ে আছে। এছাড়া দুই তরুণীর সঙ্গে ওয়ার্নের প্রেমালাপের ছবি একবার ছড়িয়ে পড়েছিল।
টেলিমুভির কিছু অংশ গত মাসে প্রচার হয়েছিল ওই চ্যানেলে। সেটা দেখে বেজায় রাগ করেছিলেন ওয়ার্ন। কারণ, টেলিমুভিটি করার আগে নাকি তঁার অনুমতি নেওয়া হয়নি। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে পুনরায় টানাহেঁচড়ায় তঁার সম্মতি ছিল না। তিনি বলেন,‘এটি আমাকে খুব হতাশ করেছে। অনুমতি না নিয়ে এ ধরনের কাজ কেউ কীভাবে করতে পারে?’
তবে শেষ পর্যন্ত অভিমান ভুলে তিনি বলেন, ‘আমার জীবনকাহিনীর পূর্ণাঙ্গ রেকর্ড শেষ করুন, তবেই জানতে পারবেন আমার জীবনে আসলে তেমন বিশেষ কিছুই ঘটেনি।’অবশ্য চ্যানেল সেভেনের প্রধান টিম ওর্নার বলেছেন,‘প্রচারকৃত অংশটুকু নাকি শেন ওয়ার্নের আত্মজীবনী ‘শেন ওয়ার্ন: দ্য মিউজিক্যাল’থেকেই নেওয়া হয়েছে। ওই বইয়ের বাইরে বাড়াবাড়ি কিছু করা হয়নি।’