সোমবার, ৯ই জানুয়ারি, ২০১৭ ইং ২৬শে পৌষ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিন সমর্থক ব্রিটিশ মন্ত্রীকে উৎখাতে ‘ইসরায়েলি ষড়যন্ত্র’

AmaderBrahmanbaria.COM
জানুয়ারি ৮, ২০১৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মারিয়ার সঙ্গে রেস্তোঁরায় মাসোতফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের একনিষ্ঠ সমর্থক ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী অ্যালান ডানকানসহ আরও কয়েকজন পার্লামেন্ট সদস্যকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র চলছে। লন্ডনে ইসরায়েল দূতাবাসের এক কর্মকর্তার ফাঁস হওয়া ভিডিওতে এসব কথা জানা যায়। লাকানো ক্যামেরায় ধারণ করা ওই ভিডিওটি প্রকাশ করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, গত বছর অক্টোবরে ধারণ করা ওই ভিডিওটি তাদের অনুসন্ধানের অংশ। ভিডিওতে মাসোত ব্রিটিশ শিক্ষামন্ত্রী রবার্ট হাফলনের সহযোগী মারিয়া স্ট্রিজোলোর সঙ্গে এক রেস্তোঁরায় বসে কথা বলছিলেন। যিনি ফ্রেন্ডস অব ইসরায়েলের রাজনৈতিক পরিচালক এবং একজন গোপন প্রতিবেদক।

সকল কূটনৈতিক শিষ্টাচার ভঙ্গ করে ওই ভিডিওতে শাই মাসোত নামের ইসরায়েল দূতাবাসের ওই কর্মকর্তা কয়েকজন ব্রিটিশ এমপি সম্পর্কে ‘অগ্রহণযোগ্য’ মন্তব্য করেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে।

মারিয়ার সঙ্গে আলোচনার এক পর্যায়ে মাসোত বলেন, ‘আপনি কি আমাকে কয়েকজন এমপি-র নাম বলতে পারেন, যাদের আমি উৎখাত করতে পারি?’

এর জবাবে মারিয়া বলেন, ‘সব এমপিরাই কিছু না কিছু লুকোতে চায়। আমি কয়েকজন এমপি-কে উৎখাত করতে চাই।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন মাসোতের মতে, ‘খারাপ নন, ভালোই’। তবে তিনি বেশি উদ্বিগ্ন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যালান ডানকানকে নিয়ে। অ্যালান বহু আগে থেকেই ইসরায়েলের সমালোচক এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের একনিষ্ঠ সমর্থক বলে পরিচিত।

অ্যালান সম্পর্কে মাসোত বলেন, “তিনি (জনসন) কোনও কিছু পরোয়া করেন না। কোনও দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ছাড়াই তার মতো একজন ‘বোকা’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন। তবে আসলেই যদি এমন কিছু (উৎখাত করা) হয়, এটা তার ভুলের জন্য নয়। বরং এর জন্য দায়ী থাকবেন অ্যালান ডানকান।”

ইসরায়েল দূতাবাস থেকে মাসোতকে কূটনৈতিক নন, সাধারণ কর্মকর্তা বলে উল্লেখ করলেও মাসোতের লিঙ্কড ইন প্রোফাইলেও তার পরিচয় স্পষ্ট। মাসোত ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ২০০৪ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত গাজায় পেট্রল বোটে কাজ করতেন। তিনি সেখানে মেজর পদে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে লন্ডনে ইসরায়েলি দূতাবাসে প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন তিনি।

সূত্র: বিবিসি, দ্যা গার্ডিয়ান।