যা খেলে দুর্বল হবে শক্তিশালী!
অনলাইন ডেস্ক : কাজু অত্যন্ত সুস্বাদু একটি বাদাম। কাজু গাছের বৈজ্ঞানিক নাম অ্যানাকার্ডিয়াম (Anacardium occidentale) এটি সপুষ্পক অ্যানাকার্ডিয়েসি পরিবারের বৃক্ষ।
বাজারে বিভিন্ন ধরণের কাজু বাদাম পাওয়া যায় যেমন- লবণাক্ত, সিদ্ধ বা মশলাযুক্ত। কাজুবাদাম সাধারণত ভেজেই খাওয়া হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম কাজুবাদামে ৩০.১৯ গ্রাম শর্করা, ১৮.২২ গ্রাম আমিষ, ৪৩.৮৫ গ্রাম চর্বি থাকে। কাজুবাদামে বিভিন্ন ভিটামিন, লৌহ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্ক খনিজ উপাদান রয়েছে। যেহেতু কাজুতে উচ্চমাত্রার ক্যালোরি থাকে তাই দৈনিক ৫-১০টা কাজুবাদাম খাওয়াই যথেষ্ট।
কাজুবাদামে প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। এটি দুর্বলকে ব্যক্তিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এছাড়া কাজুবাদামে আরও অনেক স্বাস্থ্য গুণ রয়েছে। আসুন বিস্তারিত জেনে নিই :
* কাজু বাদাম ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। আমাদের শরীরে দৈনিক ৩০০-৭৫০ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজন। আর এটা পূরণ করে এ বাদাম। কাজু মাংসপেশী ও স্নায়ুর সঠিক কাজ ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
* কাজু বাদামে কোলেস্টেরল থাকে না, এবং এতে ভালো ফ্যাট আছে। খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলের মাত্রা কমতে সাহায্য করে কাজুবাদাম।
তাছাড়া কাজুতে অলেইক এসিড থাকে যা হার্টের জন্য অনেক উপকারি।
* কাজুতে সোডিয়াম কম এবং পটাসিয়াম বেশি থাকে। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
* কাজু বাদামে সেলেনিয়াম ও ভিটামিন ই থাকে। কাজুতে থাকা জিংক ইনফেকশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আপানাকে সুস্থ রাখে। কাজু ফ্রি র্যাডিকেলের জারণ প্রতিরোধ করে, যার ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
* কাজুতে উচ্চমাত্রার কপার থাকে তাই এনজাইমের কাজে, হরমোনের উৎপাদনে এবং মস্তিস্কের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও লাল রক্ত কণিকার উৎপাদনেও সাহায্য করে। এক কথায় এটা অ্যানেমিয়া প্রতিরোধ করে।
সাবধানতা : যাদের অ্যালার্জি ও মাইগ্রেনের সমস্যা আছে তাদের কাজু না খাওয়াই ভালো। হাইপারটেনশনের রোগীরা লবণাক্ত কাজু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।