নবীনগরে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে খামারীর আনিত অভিযোগের তদন্ত
নিজস্ব প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ এক খামারীর আনিত অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবার (১২/১২) লক্ষীপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা তদন্ত করেছেন। জানা যায়, উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা মোঃ আলী আজ্জম সরকার ৪২টি ভেড়া/ কথিত দুম্বা নিয়ে একটি খামার গড়ে তুলেন। তার খামারে ভেড়া/ কথিত দুম্বা গুলি অসুস্থ হয়ে পড়লে খামারী তাৎক্ষনিক উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার অফিসে যায় এবং অসুস্থ ভেড়া গুলির বর্ণনা দেন। বর্ণনা শুনে কর্মকর্তা ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলম একটি প্রেসক্রিপশান লিখে দিয়ে বলেন এই ঔষধ গুলি ব্যবহার করলে ভালো হয়ে যাবে। খামারী জানান এই ঔষধ ব্যবহার করে আমার ভেড়া গুলোর কোন পরিবর্তন হয়নি, তাই আমি ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলমকে ফোন করে বলি এ ঔষধে কোন কাজ হয়নি দয়া করে আপনি আমার খামারটি পরিদর্শন করে আমাকে বিপদ থেকে রক্ষা করুণ। তিনি আসবেন প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসলেন না, এতে আমার সর্বমোট ২৭টি ভেড়া মারা যায়। এরই জের ধরে খামারী আলী আজ্জম সরকার মাননীয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী মহোদয়সহ বিভিন্ন কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেণ। ঐ অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে লক্ষীপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা হাবীবুর রহমান কে তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেন। ফলে গত সোমবার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করার জন্য নবীনগর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে উপস্থিত হন। তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগকারী আলী আজ্জম সরকারকে কয়েকজন স্বাক্ষীসহ নবীনগর প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসতে বললেন। আলী আজ্জম সরকার ৪/৫ জন স্বাক্ষী নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাত করেণ। সকাল ১০ ঘটিকার হইতে দুপুর ১২ঘটিকার সময় পর্যন্ত অভিযোগকারী ও তার স্বাক্ষীদের জেরা করা হয়। এসময় খবর পেয়ে আরো ১৫/২০ জন ভোক্ত ভোগী খামারী তাদের অভিযোগ শুনার জন্য তদন্ত কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেণ। তিনি অন্য কোন অভিযোগ তদন্ত করতে পারবেন না জানালে জনগণ চেচামিচি শুরু করেণ। ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর থেকে আসা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ও তদন্ত কর্মকর্তা সম্মিলিতভাবে পুলিশের সহায়তা নিয়ে তদন্ত কাজ শেষ করলেন কর্মকর্তাগণ খামারীদের বলেন, আপনারা কয়েক দিনের মধ্যে ভালো একজন লাইভষ্টক অফিসার পাবেন।
উল্লেখ্য, উক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একই ষ্টেশনে অবস্থান সহ তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি, ঘুষ, ভূল চিকিৎসায় খামারীদের পশু মৃত্যুর ঘটনায় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদ পরিবেশনসহ সংশ্লিষ্ট উচ্চ মহলে আবেদনের প্রেক্ষিতে অবশেষে এই বিতর্কিত কর্মকর্তার শাস্তিযোগ্য বদলী করা হয়।