সরাইল মুক্ত দিবস পালিত
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর আবারও অত্যন্ত ঝাঁকঝমক পূর্ণভাবে পালিত হয়েছে সরাইল মুক্ত দিবস। আনন্দে ভাসছিলেন উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধারা। তোরণ ও ডিজিটাল ব্যানারে ছেয়ে গেছে উপজেলা সদর। ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর সরাইল পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে সরাইল থানা চত্বরে উত্তোলন করা হয় লাল-সবুজের পতাকা। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা নানা কর্মসূচিতে ছিলেন ব্যস্ত। সকালে জাতীয় ও সাংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা করেন উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আবদুল হালিম। পরে তারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। সকাল ১১টায় স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ ইসমত আলীর নেতৃত্বে উপজেলা চত্বর থেকে একটি বিশাল র্যালী বের হয়। র্যালীতে মুক্তিযোদ্ধা, স্কুল কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন। র্যালীটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে এসে শেষ হয়।
সকাল সাড়ে ১১টায় শহিদ মিনার চত্বরে কমান্ডার ইসমত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জিয়াউল হক মৃধা এমপি। ডেপুটি কমান্ডার মোঃ আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় ওই সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাহিদা হাবিবা, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মেজর (অবঃ) শেখ দলীল উদ্দিন আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম বাচ্চু, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক আ’লীগ নেতা জুনায়েদ উদ্দিন ঠাকুর, প্রাথমিক শিক্ষার সাবেক পরিচালক ড. শাহজাহান ঠাকুর, এডভোকেট আবদুর রাশেদ, এ আই মনোয়ার উদ্দিন (মদন), মোঃ সাদেক মিয়া, মোঃ আরব আলী, সরাইল কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বায়তুল হোসেন খন্দকার, অফিসার ইনচার্জ রুপক কুমার সাহা, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার ও সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আইয়ুব খান। প্রধান অতিথি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দেশের প্রধান সমস্যা। তিনি নাসিরনগরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দির ভাংচুরের ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, একটি মহল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাজিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তিনি আগামী বছর থেকে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দিবসটি পালনের নির্দেশ দেন ইউএনও কে। এ ছাড়া সকল মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্যাবলী সংগ্রহ করে একটি বের করারও প্রস্তাব দিয়েছেন এমপি মৃধা।