স্বামী নাজমুল হাসানকে চড় মারার জন্যই স্ত্রী নাসিমা আক্তার ও পুত্র নাফিস হত্যার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন। বুধবার তার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
মঙ্গলবার কুমিল্লায় স্ত্রী নাসিমা আক্তার (৩০) ও তার দেড় বছরের পুত্র নাফিসকে হত্যা করেছিল নাসিমার স্বামী নাজমুল হাসান(২৪)। তাকে রাঙামাটি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে আসামী নাজমুল হাসানকে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার মাইনামো লঞ্চঘাট থেকে গ্রেফতার করা হয়। নাজমুল হাসান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
তিনি আরো বলেন, নাসিমার এটি দ্বিতীয় বিয়ে ও নাজমুলের তৃতীয় বিয়ে। নাজমুলের আগের দুই স্ত্রীর একজন মারা গেছে, অন্যজন ডিভোর্স দিয়েছিলেন। নাজমুল নাসিমার ৬ বছরের বড়। দাম্পত্য কলহ নিয়ে নাসিমা একদিন স্বামী নাজমুলকে চড় মারেন। সেই জেদ থেকে অফিসে থাকার জায়গা আছে বলে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে এনে গলা টিপে হত্যা করেন। ধস্তাাধস্তির সময় নাফিস কেঁদে উঠলে তাকেও গলা টিপে হত্যা করে নাজমুল।
প্রসঙ্গত, গত রোববার রাতে কুমিল্লা হাউজিং এস্টেটের মিম পেক্স এগ্রো ক্যামিকেলসের সেফটিক ট্যাংক থেকে নাসিমা আক্তার ও তার দেড় বছর বয়সী ছেলে নাফিসের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নাসিমার গ্রামের বাড়ি বরুড়া উপজেলার কাদবা দেউড়া গ্রামে। স্বামী নাজমুল হাসানের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বরকইট শ্রীমন্তপুর গ্রামে। নাজমুল ওই গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে।
গত বৃহস্পতিবার হাউজিং এস্টেটের ওই মিম পেক্স এগ্রো ক্যামিকেলসে নিরাপত্তাকর্মীর চাকরি নেয় নাজমুল। শুক্রবার রাতে স্ত্রী নাসিমা ও ছেলে নাফিসকে ওই বাড়িতে নিয়ে আসে। শুক্রবার রাতে তাদের হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে রেখে নাজমুল পালিয়ে যায়।