নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় প্রধান পৃষ্ঠপোষক জিয়া-তামিম ছাড়া আরও অনেকে জড়িত আছেন। এদের পরিচয় খুব শিগগিরই জানতে পারবেন। এদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী শিল্পী গোষ্ঠীর উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে কেবল ঘুরে দাঁড় করিয়েছিলেন, ঠিক তখনই স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে হত্যা করে। আজ তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করছেন। তিনি যখন বাংলাদেশকে বিশ্বের একটি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে নিয়ে যাচ্ছেন, ঠিক তখনই স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রিরা নানান ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ায় আইএস খুঁজে বেড়াচ্ছি। কিন্তু কোথাও এই নামে কোন সংগঠন পাইনি। যারা আগুন সন্ত্রাস করেছিল, তারাই পেছনে একটি কালো পর্দা লাগিয়ে আইএস লিখে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। গুলশান হামলার পর যখন আমরা এর উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করলাম, তখন দেখলাম এরা একই। সেই একই জায়াগা থেকে নিয়ন্ত্রিত, একই স্থান থেকে এদেরকে টাকা জোগান দেয়া হয়। এরাই আগুন সন্ত্রাসী, এরাই জেএমবি, হুজি, হিজবুত তাহরীর। এরাই জামায়াত-শিবির।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, তুরস্কের সেনা অভুত্থানে এরদোগানের একটি বার্তায় সেদিন সেনাবাহিনীর ট্যাংকের সামনে হাজার হাজার নেতাকর্মী শুয়ে পড়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় আমরা তা পারিনি। এটা আমাদের জন্য ইতিহাসের সবচেয়ে লজ্জাকর একটি অধ্যায়।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক সালাউদ্দিন বাদলের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।