রবিবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০১৮ ইং ১৬ই বৈশাখ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের বৃহত্তম নৌ-বিমান তৈরি করল চীন

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দিন দিন বিদেশি বিমান সংস্থার ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে চেষ্টা করছে চীন। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম উভচর বিমান নির্মাণের কাজ শেষ করল দেশটি। জলে ও আকাশে চলতে সক্ষম এই নৌ-বিমানটি তৈরি করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় বিমান কোম্পানি অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন অব চায়না (এভিআইসি)।

2016_07_25_20_51_26_i1yjXqf8OiQXaoUz0zoZwmEFPwjuez_original

চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, ‘এজি সিক্স হান্ড্রেড’ নামের নৌ-বিমানটি শনিবার তাদের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরী ঝুহাইতে প্রথম প্রদর্শন করা হয়। বিমানটি একটানা সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার চলতে পারবে। এছাড়া বনাঞ্চলে দাবানল নিয়ন্ত্রণ এবং খনি দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজে এটি কাজে লাগানো যাবে।

এভিআইসি’র জেনারেল ম্যানাজার গেং রুগুয়াং জানান, একটি বোয়িং সেভেন থ্রি সেভেন বিমানের সমান আয়তনের তাদের এই নতুন বিমানটি। পৃথিবীতে নির্মিত সবচে বড় নৌ-বিমান এটি। তবে এর পাখার দৈর্ঘ্য ১৯৪০ সালে তৈরি করা এইচ-ফোর হারকিউলিস’র চেয়ে সামান্য ছোট। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে নিজের সৈন্যদের উদ্ধারে চল্লিশের দশকে এইচ-ফোর হারকিউলিস তৈরি করেছিল চীন।

সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, আপাতত দেশি বাজারেই বিমানটি বিক্রি করবে চীন। খনি সংক্রান্ত কাজে এটি সবচে ভালো কাজে লাগানো যাবে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়। এছাড়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ, খনিজ সম্পদ শনাক্তকরণ ও পরিবহণের কাজেও লাগবে ‘এজি সিক্স হান্ড্রেড’।

সমুদ্রে নিজের অর্থনৈতিক স্বার্থ ধরে রাখতে গিয়ে সম্প্রতি প্রতিবেশি দেশ জাপান, ভিয়েতনাম এবং ফিলিপাইনের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে চীন। ধারণা করা হচ্ছে, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের বিভিন্ন ধরনের অভিযানে কাজে লাগানো হবে নৌ-বিমানটি। সাগরটিতে বেশ কয়েকটি কৃত্রিম দ্বীপও তৈরি করেছে চীন।

ইতিমধ্যে এভিআইসি বিমান তৈরির ১৭টি অর্ডার পেয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউরোপের এয়ারবাস এবং যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িংয়ের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনছে চীন। আগে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের বিমান কোম্পানির দ্রুত অগ্রগতি হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email