ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ এর গানের স্কুল ভাঙচুর : আগুনে তপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ-ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষে এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার জেরে সুরসম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কুল, প্রশিকা কার্যালয়, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল হক ভূঁইয়ার বাসভবন ও ব্যাংক এশিয়ার শাখা অফিস ভাঙচুর করে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ মাদ্রাসা ছাত্ররা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন স্থানে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
এরপর ছাত্ররা মিছিল করতে করতে শহরের মৌড়াইল রেলগেটে গিয়ে রেললাইন উপড়ে ফেলে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে ও আগুন দিয়ে রেলপথ অবরোধ করে।
পরে, বিক্ষুব্ধরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে হামলা চালায়। এ সময় স্টেশনের টিকেট বিক্রির জন্য ব্যবহৃত কম্পিউটার, সহকারী স্টেশন মাস্টার কক্ষের সিগন্যালিং যন্ত্র, আটটি সিসি টিভি ক্যামেরা, স্টেশন মাস্টারের কক্ষ, টিকিট কাউন্টার, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বিশ্রামাগার সহ সব কক্ষের আসবাবপত্র ও সরঞ্জাম ভাঙচুর করে। স্টেশন কাউন্টারে থাকা কম্পিউটার, টিকিট, প্লাটফর্মে থাকা যাত্রীদের আসন, বিশ্রামাগারে থাকা সোফা ও রেলের ট্রলিতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।
এদিকে, মাদ্রাসা ছাত্রদের একটি দল ফকিরাপুলের উত্তরাংশের হালদারপাড়ায় স্থানীয় সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর কার্যালয় ভাঙচুর করে।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে এসব ঘটনা ঘটে।
জেলা কওমী ছাত্র ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খালেদ মোশাররফ অভিযোগ করে বলেন, ‘পুলিশ মাদ্রাসায় ঢুকে মাসুদুর রহমানকে হত্যা করেছে। এ জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সদর থানার ওসির অপসারণ দাবি করেন তিনি।’
উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যায় শহরের জেলা পরিষদ মার্কেটের একটি দোকানে জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্রের সঙ্গে মোবাইল কেনা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে মোবাইল ব্যবসায়ী-মাদ্রাসা ছাত্র ও ছাত্রলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় মাসুদ আহত হন। মঙ্গলবার ভোরে তার মৃত্যু হলে ক্ষুব্ধ হয়ে সকালে রাস্তায় নেমে আসে তার সহপাঠীরা।