রবিবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০১৮ ইং ১৬ই বৈশাখ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

আইনমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ সাকা-মুজাহিদের প্রাণভিক্ষা নিয়ে

নিউজ ডেস্ক : সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ফাঁসির আগে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছিলেন কিনা তা নিয়ে বিতর্ক এখনো চলছে। বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী বলছেন, দু’জনের স্বহস্তে লেখা আবেদন তিনি দেখেছেন যার বিষয় হিসেবে লেখা ছিল সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ মোতাবেক ক্ষমা প্রার্থনা প্রসঙ্গে। তবে মি. চৌধুরী ও মি. মুজাহিদের পরিবারের সদস্যরা সরকারের এ দাবী এখনো অস্বীকার করছেন।

 


মি. মুজাহিদের ছেলে বলছেন, তারা বাবা চিঠি একটি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতিকে তবে তা বিচার ব্যবস্থার অসঙ্গতি নিয়ে, ক্ষমা চেয়ে নয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজ স্পষ্ট করেই বলছেন, দু’জনের আবেদন পত্র তিনি দেখেছেন এবং সেখানে স্পষ্ট করে লেখা ছিল সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমা প্রার্থনা প্রসঙ্গে।

 


তবে মি. মুজাহিদের ছেলে দাবী করছেন, কারা কর্তৃপক্ষের চাপের মুখে তার বাবা চিঠি একটি লিখেছিলেন, তবে সেটা কোনও আবেদন নয়, এবং কোনও ক্ষমা প্রার্থনাও তিনি করেননি।

 


শনিবার সারাদিনই সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন নিয়ে বিতর্ক চলেছে। রাতে মি. চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা কারাগারে তার সঙ্গে শেষ দেখা করে আসার পর তার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর ছেলে সাংবাদিকদের কাছে বলেন, তার বাবা প্রাণভিক্ষা চাওয়ার খবর উড়িয়ে দিয়েছেন।

 


একই রকম বক্তব্য তখন দিয়েছিলেন মি. মুজাহিদের ছেলে আলী আহম্মেদ মাবরুরও। কিন্তু দণ্ড কার্যকরের পরদিনও এ নিয়ে বিতর্ক থামছে না। দুই দণ্ডপ্রাপ্তের পরিবারের সদস্যরা আজও সারাদিন ধরে এটাকে সরকারের একটি অপকৌশল বর্ণনা করে বক্তব্য দিয়েছেন।

 


এই প্রেক্ষাপটে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, “আবেদনের মধ্যে পরিষ্কার লেখা ছিল বাংলাদেশ সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমা প্রার্থনা প্রসঙ্গে, তো এর থেকে আর কি থাকতে পারে বলুন। একেবারে নিজে হাতে, একজন বাংলায় লিখেছেন একজন ইংরেজিতে লিখেছেন। রাষ্ট্রপতির কাছে যখন ৪৯ অনুচ্ছেদের একটি পিটিশন যায়, এটা কিন্তু ক্ষমা প্রার্থনা ছাড়া আর কিছু না।” তবে মি. মুজাহিদের ছেলে মি. মাবরুর বলছেন, তার বাবা চিঠি একটি লিখেছেন তবে সেটা কোনও আবেদন নয়, সেটা ছিল তার ভাষায় একটি ‘নোটিফিকেশন লেটার।’

 


তিনি বলেন, “এটাকে আবেদন বলা যাবে না এজন্য যে ওনার এখানে কোন আবেদন ছিল না। যেহেতু জেল কর্তৃপক্ষ ওনাকে চাপ দিয়েছে, উনি বলেছেন, আমি এই বিচারের অসঙ্গতিগুলো এবং আমার ক্ষেত্রে মৌলিক অধিকারগুলোর ক্ষেত্রে যে বঞ্চিত করা হয়েছে, এই বিষয়গুলোকে নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে একটা চিঠি দিয়েছি। উনি বলেছেন আমার কোনও প্রয়োজন নেই তার কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার এবং আমি সেটা করিনি।”

 


মি. মাবরুরের এই বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করে আইন মন্ত্রী বলছেন, সংবিধান মোতাবেক ক্ষমা প্রার্থনা ছাড়া কোনও ফাঁসির আসামীর জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আর কোনও রকম কোনও আবেদন করার সুযোগ নেই।তিনি বলেন, “বিচার ব্যবস্থার যদি ত্রুটি থাকেই সেটা ওনারা কোর্টে বলতে পারতেন।

 


মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে লেখার কোনও অবকাশ নেই। আমরা যারা এই দরখাস্তটা দেখেছি, আমরা বলছি, ওনারা যদি দরখাস্তটা দেখে থাকেন, ওনাদের কাছে যদি দরখাস্তের কপি থেকে থাকে, দয়া করে ওনারা যেন দেখান যে এটা আর্টিকেল ৪৯ এর আন্ডারে কোনও পিটিশন ছিল না, তাহলেই হোক, আর আমরাটা তো আমার কাছে আছেই। আমার মুখের কথাই যথেষ্ট।”

 


এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে সংবিধানের আলোচ্য ৪৯ অনুচ্ছেদে বলা রয়েছে, কোনও আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের দেয়া যে কোন দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করবার এবং যে কোনও দণ্ড মওকুফ স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকবে।

Print Friendly, PDF & Email

এ জাতীয় আরও খবর

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে সবসময় থাকবো : টার্নবুল

উন্নত দেশ গড়তে ২০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা ও কোলকাতার পত্রপত্রিকার সব গুরুত্বপূর্ণ খবর

কক্সবাজারে জাতিসংঘের নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল

যুবককে বাস চাপা : পা বিচ্ছিন্ন

বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে আড়াই লাখ রোহিঙ্গা বিদেশে গেছে : প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী