ফেইসবুক ব্যবহারে আর্থ-সামাজিক যোগাযোগের উন্নয়ন ঘটলে ও – কুফল বয়ে আনছে
শামীম সরকার : বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষ বিশেষ করে যুব সমাজ প্রযুক্তির বিভিন্ন উপকরণ ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস ইত্যাদির দিকে ব্যাপকহারে ঝুঁকে পড়েছে। বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবহারকরীরা তাদের দৈনন্দিন জীবনের বেশিরভাগ সময় অতিবাহিত করেন বিভিন্ন ধরণের সামাজিক যোগাযোগের সাইট ব্যবহারের মাধ্যমে। বর্তমান সময়টা হচ্ছে ইন্টারনেটের। আর
ইন্টারনেট বলতেই এখন এক কথা সর্বপ্রথম যে সাইটটির নাম চলে আসে তা হলো ফেসবুক। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগের ধারণা নিয়ে চালু হওয়া ফেসবুক পাল্টে দিয়েছে ইন্টারনেট বিশ্বকে।
সময়ের সাথে সাথে মানুষের জীবনযাপনের ধারণাটি পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির আধুনিকায়নের সাথে সাথে দৈনন্দিন জীবন যাপনের ধারায় যুক্ত হচ্ছে নিত্য নতুন অনুষঙ্গ। আর ক্রমেই বিশ্ব হয়ে উঠছে ইন্টারনেট নির্ভর। ইন্টানেটের বিস্তার গত এক দশকে পৃথিবীর আর্থ-সামাজিক অবস্থায় নিয়ে এসেছে বড় ধরণের পরিরর্তন। পাশ্চাত্যের দেশগুলো প্রযুক্তির ব্যবহারে বেশি অগ্রসর হলেও
এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই এশিয়ার দেশগুলো। বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ যুক্ত রয়েছে ইন্টারনেটে। আর এর বড় একটি অংশই রয়েছে এশিয়ার।
অপকারঃ-
বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় বিশেষ করে যুবসমাজ ইন্টারনেটের দিকে ব্যাপকভাবে ঝুঁকে পড়ছে। আর যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে, তাদের অনেকেই বর্তমানে ফেসবুক নিয়ে মেতে থাকে। কিন্তু ফেসবুকের অত্যধিক ব্যবহার আমাদের জীবন ক্রমশ অভিশাপে রূপ নিচ্ছে।
ছাত্র-ছাত্রীরা ফেসবুকে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকে। এর ফলে দেখা যাচ্ছে একদিকে যেমন তাদের মানসিক এবং শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে অপর দিকে সময়ের অপচয় হচ্ছে, যা তাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করছে। অর্থাৎ ফেসবুক ছাড়া যেন তাদের এক মুহূর্তও কাটেনা। যেখানেই যাই সেখানেই ফেসবুক চাই। আর এই প্রক্রিয়াটি আরো সহজতর হয়ে উঠেছে বর্তমানে মোবাইলে ফেসবুক ব্যবহারের সুবিধা চালু হওয়ায়।
এমনকি তরুণ তরুনীদের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ফেসবুকে ম্যাসেজ পাঠান এবং দিনের অনেক সময় ব্যয় করেন ফেসবুকের পেছনে।
অন্যদিকে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের নাফিজা আক্তার সানি (২০) তার মা অভিযোগ করে বলেন,আমার মেয়ে গতবছর ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষে অনার্স ১ম বর্ষ স্নাতক(সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেয়ে বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধীনে ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চান্স পেয়ে কেম্সিট বিষয়ে ভর্তি হয়।কিন্তু আমার মেয়ে সারাদিন ফেইসবুক ব্যবহারের ফলে দ্বিতীয়বারের মত এই বছর ও ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষে অনার্স ১ম বর্ষ স্নাতক(সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা ২/৩ টা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় দিয়েছিল কিন্তু রেজাল্টে অপেক্ষাম তালিকায় আমার মেয়ের নাম আসেনি।তার কারন একটাই মাএারিক্ত ফেইসবুক ব্যবহার।
ফেসবুক মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে তারা আসক্তিজনিত রোগে আক্রান্ত, মস্তিষ্ক-ক্যান্সার, মানসিক রোগী ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে। যখন কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও যদি ফেসবুকের প্রতি আসক্ত হয়ে যায়, তখন তার কাজের গতিও কমে আসে। সঠিকভাবে তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারেন না।