৩ র্যাব সদস্যকে ফেরত দিলো বিএসএফ
নিজস্ব প্রতিবেদক : কুমিল্লা সীমান্ত পেরিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও কারবারীদের ধরতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে আটক র্যাবের তিন সদস্যসহ দুই নারী সোর্সকে ফেরত দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের পর বিকেল সাড়ে ৫টায় তাদের ফেরত দেওয়া হয়।
আটকের পর প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা পর দেশের অভ্যন্তরে ফেরত আসেন র্যাব-১১ সিপিসি-২-এর ওই তিন সদস্য ও দুই নারী সোর্স। এর আগে সকাল ৯টার দিকে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী শশীদল ইউনিয়নের আশাবাড়ি উত্তরপাড়া থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ।
ফেরত আসা পাঁচজন হলেন, র্যাবের কনস্টেবল আবদুল মতিন, কনস্টেবল রিগেন বড়ুয়া, সৈনিক ওয়াহেদুল ইসলাম এবং দুই নারী সোর্স লিজা ও তার খালা।
র্যাব-১১ সিপিসি-২-এর ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মুহিতুল ইসলাম জানান, র্যাবের একটি দল বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা থেকে আশাবাড়ি এলাকায় মাদক উদ্ধার অভিযানে যায়। এ সময় মাদক চোরাকারবারীদের ধাওয়ার একপর্যায়ে র্যাবের কয়েক সদস্য অসাবধানতাবশত ভারতীয় সীমান্তের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। এতে ভারতীয় নাগরিকরা তাদের আটক করে বিএসএফ এর নিকট হস্তান্তর করে। পরে ভারতীয় নাগরিকরা র্যাবের তিন সদস্য এবং তাদের সঙ্গে থাকা দুই নারী সোর্সকে আটকের পর বেধড়ক মারধর করে তাদের ব্যবহৃত একটি পিস্তল, সাতটি বুলেট ও অন্যান্য সামগ্রীসহ বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে।
খবর পেয়ে কুমিল্লা থেকে র্যাব ও বিজিবির পদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেন। বিকেল ৪টায় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে বিকেল ৫টায় তাদের ফেরত দেওয়া হয়।
বৈঠকে ভারতের ৭৪-বিএসএফর পরিদর্শক আর জে মিঠু ও বাংলাদেশের সংকুচাইল বিওপির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নুরুল ইসলামসহ বিএসএফ-বিজিবির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে সীমান্তের বিজিবির সংকুচাইল বিওপির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নুরুল ইসলাম জানান, ‘সীমান্তের ২০৫৯ নম্বর পিলারের সামনে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের রহিমপুর-আশাবাড়ি সীমান্ত এলাকা দিয়ে র্যাব সদস্যরা ভুলবশত ভারতে প্রবেশ করলে ভারতীয়রা তাদেরকে আটক করে বিএসএফ’র কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিকেল ৫টার দিকে বিএসএফ ওই পাঁচজনকে হস্তান্তর করে বিএসএফ।’