শশুরবাড়ি গিয়ে পরকীয়ায় ধরা, বিয়েই দিয়ে দিল গ্রামবাসীঃ অতঃপর….
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার দানীকলা গ্রামে। যে যুগলের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে, তাঁদের দু’জনরেই সংসার, সন্তান রয়েছে।দানীকলা গ্রামের এক গৃহবধূর সঙ্গে হরিরাজপুর গ্রামের প্রশান্ত দলুইয়ের দীর্ঘ কয়েক বছরের সম্পর্ক ছিল। ওই গৃহবধূর পাড়াতেই প্রশান্তর শ্বশুরবাড়ি। আর সেই সূত্রে জামাই হিসেবে শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীর ওই গৃহবধূর সঙ্গে প্রশান্তর পরিচয় হয়েছিল৷ তা থেকেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দু’জনের মধ্যে।
প্রায়শই নাকি ভোর নয়তো সন্ধের পরে দু’জনে লুকিয়ে দেখা করতেন। প্রশান্তবাবুর স্ত্রী এবং ছেলে রয়েছে৷ অন্য দিকে গৃহবধূও দুই সন্তানের মা। তাঁর স্বামীও রয়েছেন। তা সত্বেও দু’জনের সম্পর্ক ছিল দীর্ঘ দিন ধরে৷পরকীয়া আইনি স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু সমাজের কাছে তা এখনও ‘অপরাধ’। তাই পরকীয়ায় মত্ত যুগলকে হাতেনাতে ধরে শাস্তি দিলেন গ্রামবাসীরা। বিবাহিত পুরুষ এবং মহিলাকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হল।
গ্রামবাসী এবং সালিশি সভার মাথাদের বক্তব্য, ‘‘ওই দু’জনের ‘অবৈধ’ সম্পর্কে আমাদের এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল ৷ তাই আমরা দু’জনের বিবাহ দিয়েছি।’’দুই পরিবার তো বটেই, এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দাও দু’জনকে একাধিক বার সতর্ক করেন বলে খবর। তাতেও নাকি ওই যুগলের সম্পর্কে চিড় ধরেনি।
গ্রামবাসীরা শুক্রবার ভোর রাতে দু’জনকে ফের এক সঙ্গে দেখে ফেলে৷ তখনই তাঁদের হাতেনাতে ধরে বাড়ির লোকজনকে খবর দেওয়া হয়। বসানো হয় সালিশি সভা৷সেখানেই দু’জনের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্থানীয় একটি মনসা মন্দিরে নিয়ে গিয়ে কিছু ক্ষণের মধ্যেই বিয়ে দেওয়া হয় দু’জনের৷