বুধবার, ২৪শে অক্টোবর, ২০১৮ ইং ৯ই কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

সকালে বাবা দুপুরে ছেলে আর পারিনা, তাই দেশে ফিরে এলাম

news-image

এবার সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরলেন ৩৬ নারী শ্রমিক।তবে এক সাথে এত নারি শ্রমিক দেশে ফিরে আসার নজীর এই প্রথম নয় এর আগেও অনেক নারি সৌদি থেকে দেশে ফিরে এসেছেন।

মূলত যৌন নির্যতনের শীকার হয়েই তারা দেশে ফিরে আসে।গতকাল তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।তবে বিমান বন্দরে নেমেই অনেক কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

সংসারে অভাব ঘোচানোর জন্য একটু সুখের আশায় স্বামী সংসার ছেড়ে পাড়ি জমান বিলকিস আকতার।জীবন মান সম্মান হারিয়ে আজ নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরলেন তার মত প্রায় অর্ধাশতাধিক নারি। কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বিলকিস

বলেন, তারা জোর করে আমার সাথে অন্যায় কাজ করেছে। সুখের আশায় নবীর দেশে গিয়েছিলেম।কিন্তূ সৌদির মানুষেরা এত খারাপ জানা ছিল না। কি বলব নিজের কথা তারা জোর করে আমাকে দিয়ে সব কাজ করাই নিত।খেতে দিত না।

সকালে বাবা দুপুরে ছেলে জোর করে আমার সাথে অন্যায় কাজ করত।আমার পাস্টপোর্ট কেড়ে নেওয়া হয় কোথাও পালাইও যেতে পারিনি। পরে সব কথা স্বামীকে বলি। সে আমাকে সাহস দিয়েছে এই পালানোর ব্যাপারে।

আজ দেশে আসছি কিন্তু ক্ষত রয়েগেছে জীবনে। এদিকে সৌদি থেকে ফিরে আসা আরেক নারি সালমা বলেন, সৌদিতে নারীরা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হন।আমার পাসপোর্ট রেখে দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে আমি পালিয়ে বাংলাদেশের দূতাবাসে আসি।

দূতাবাস আমাকে আউট পাস দিয়ে দেশে পাঠিয়েছে। সেখানে একবছর কাজ করেছি কিন্তু বেতন পেয়েছি তিন মাসের।আমাকে গালাগালি করতো, খেতে দিত না ঠিক মতো। সালমা ও বিলকিসের মত আরও অনেক নারী তাদের দুঃখের কথা তুলে ধরেন।তবে তারা দাবি করেন যৌন দাসি হয়ে কেউ যেন সৌদি না যায়।