বুধবার, ২৪শে অক্টোবর, ২০১৮ ইং ৯ই কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

আসছেন প্রধানমন্ত্রী, পদ্মার দু’পারে সাজসাজ রব

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : দেশের বৃহত্তম অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতুর কাজ পরিদর্শন ও পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতির ফলক উন্মোচন ও রেল সংযোগের ফাউন্ডেশনের উদ্বোধন করতে আগামীকাল রোববার পদ্মা সেতু এলাকায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে পদ্মার দু’পার শরীয়তপুরের জাজিরা, মাদারীপুর ও মুন্সীগঞ্জ এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুই পারেই এখন সাজ সাজ রব। আনন্দের বন্যা বইছে।

শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো কর্মসূচির মাধ্যমে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকালে প্রথমে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে কাজের অগ্রগতি দেখবেন। এরপর তিনি মাওয়া প্রান্তে টোলপ্লাজা সংলগ্ন এলাকায় সুধী সমাবেশে যোগ দিবেন।

সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী শরীয়তপুরের জাজিরা সার্ভিস এরিয়া-২ এ আসবেন। জাজিরা প্রান্তে টোল প্লাজার নিকট পদ্মা সেতুর অগ্রগতির নামফলক উন্মোচন করবেন। এরপর এন-৮ মহাসড়কের ঢাকা-মাওয়া এবং পাঁচ্চর-ভাঙ্গা আট লেন সড়কের অগ্রগতি পরিদর্শন ও উদ্বোধন, পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ ফাউন্ডেশন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন, স্থানীয় নদীশাসন কার্যক্রমের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন তিনি।

বিকেলে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইলিয়াছ আলী ফেরীঘাট সংলগ্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের এক জনসভায় বক্তব্য দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে শরীয়তপুরের জাজিরা, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্চ ও পদ্মা পারের জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে শত শত তোরণ, বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন দিয়ে শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলাকে নানা রঙে সাজিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

এরইমধ্যে জেলা পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। কাঁঠালবাড়ী ইলিয়াছ আলী ফেরীঘাট সংলগ্ন এলাকায় জনসভা শেষে বিকেল চারটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়না দিবেন।

জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকার মোকলেছ মাদবর বলেন, আমরা বাপ দাদার ভিটে-মাটি দিয়েও শান্তি পাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মাসেতুর কাজের উদ্বোধন করবেন। এতে করে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ হবে। এলাকার অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। এ এলাকায় শ্রমজীবী মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। আমরা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাই। পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ।

শরীয়তপুর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সহ-সাংগঠনিক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবদুর রহমান খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে। এজন্য আমরা খুশি। আমরা চাই আওয়ামী লীগ সরকার আগামী নির্বাচনেও সরকার গঠন করে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে পারবে।

আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক আলী শিকদার বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের কথা চিন্তা করে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ হাতে নিয়েছিলেন। তিনি পদ্মা সেতুর কাজের উদ্বোধন করে দু’পারে দুটি জনসভায় যোগদান করবেন। এতে আমাদের আনন্দের শেষ নেই।

জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমনে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তার আগমনে শরীয়তপুরের জাজিরা এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। আশা করছি প্রধানমন্ত্রী সুন্দর সুষ্ঠুভাবে তার কর্মসূচি পালন করে যেতে পারবেন। আরটিভি অনলাইন