পদ্মা সেতুতে হামলার ষড়যন্ত্র ছিল : কাদের
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এমন একটা সময় ছিল যখন হলি আর্টিজন হামলার পর পদ্মা সেতুতে হামলার ষড়যন্ত্র ছিল। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি কতটা এক্ষেত্রে কাজে লেগেছে তা বাস্তবে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। অস্বীকার করার কিছু নেই।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশি প্রকৌশলী, পরামর্শকরা চলে যেতে চেয়েছিল। এইরকম প্রতিকূল পরিবেশে সেনাবাহিনী সদস্যরা সাহস যুগিয়েছেন। বাস্তবে এই সত্যতা অস্বীকার করার কিছু নেই।’
আজ শনিবার বিকেলে ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের টোলপ্লাজার নিকটে মঞ্চ পরিদর্শন শেষে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। এ সময় তার পাশে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে যেসব সফলতা, অবদান ও কৃতিত্ব সবকিছু বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। দৃশ্যমান পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার একক সাহসী নেতৃত্বের সোনালী ফসল। এখানে অন্য কারো কোনো অবদান নেই। মন্ত্রী হিসাবে তিনি অত্যন্ত সংকটে দায়িত্ব দিয়েছিলেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তখন বিশ্বব্যাংক সেতু নির্মাণে সরে গিয়েছিল। আমাকে যেই দায়িত্ব দিয়েছেন, তা বিপদ সংকট। কিন্তু আমি সেই দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করেছি। আমি একা নই, এখানে একটি টিম কাজ করেছে। টিমে সচিব, পিডি, সেনাবাহিনীর মূল্যবান অবদান ছিল।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সত্য অস্বীকার করার কিছু নেই যে পদ্মা পাড়ের মানুষের অবদান। শিবচর, জাজিরা, লৌহজং, শ্রীনগর উপজেলার জনগণ, জন-প্রতিনিধি সীমাহীন কষ্ট স্বীকার করেছেন। পৈত্রিক সম্পত্তি ছেড়ে দিতে হয়েছে। পৈত্রিক সম্পত্তি ছেড়ে দেওয়ার বেদনা অংকুরে বিদ্যামান। সেই ত্যাগ স্বীকার করেছেন এই দু’পাড়ের মানুষ। পদ্মা সেতু নির্মাণের এই পর্যায়ে আসার পিছনে উভয় পাড়ের জনগণের সীমাহীন ত্যাগ, অবদান আছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— মুন্সীগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, মুন্সীগঞ্জ ৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। সূত্র: দৈ.আ.স