বাংলাদেশ ম্যাচের আগে পাকিস্তান শিবিরে ভয়
স্পোর্টস ডেস্ক: বুধবারের বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচটি অলিখিত সেমিফাইনাল হয়ে উঠেছে। এই ম্যাচে জয়ী দল উঠে যাবে ফাইনালে। কিন্তু এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে দলের আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ কোচ মিকি আর্থার
বাংলাদেশের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যানটা পাকিস্তানকে ভয় পাইয়ে দেবে। সর্বশেষ তিন ওয়ানডেতেই যে জয়ী দলের নাম বাংলাদেশ! বাংলাদেশের ক্রিকেটের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ’৯৯ বিশ্বকাপের সেই ঐতিহাসিক জয়ের পর পাকিস্তানকে কিছুতেই বাগে পাওয়া যাচ্ছিল না। টানা ২৫ ম্যাচ হারের সেই বৃত্ত বাংলাদেশ ভাঙে ২০১৫ সালের সিরিজে। হোয়াইটওয়াশ করে পাকিস্তানকে। এরপর আর দুই দলের দেখা হয়নি ওয়ানডেতে। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর আবার মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। বুধবার অলিখিত সেমিফাইনালের আগে মুখোমুখি লড়াইয়ের এই হিসাব কি বাংলাদেশকে বাড়তি মনস্তাত্ত্বিক সুবিধা দেবে না?
বাংলাদেশকে মানসিকভাবে এগিয়ে রাখবে সর্বশেষ ম্যাচে উজ্জীবিত জয়। আর পাকিস্তান এমনিতেই যেন নেতিয়ে পড়েছে। ভারতের বিপক্ষে পর পর দুই ম্যাচে এভাবে নাকানিচুবানি খেতে হবে, তারা ভাবেনি। এই ভারতকে হারিয়েই বছরখানেক আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছিল পাকিস্তান। সেই দলটাকেই এবারের এশিয়া কাপে কেমন যেন ছন্নছাড়া দেখাচ্ছে। কাল তো পাকিস্তানের দেওয়া ২৩৮ রানের লক্ষ্য ভারতের দুই ওপেনারই খেয়ে ফেললেন প্রায়। রোহিত শর্মা আর শিখর ধাওয়ান দুজনই করেছেন সেঞ্চুরি। উদ্বোধনী জুটিতে ২১০ রান উঠে গেলে বোলারদের ঘামের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক শক্তির শেষ বিন্দুটাও তো বেরিয়ে যায়!
মিকি আর্থার সে কথাই বললেন। পাকিস্তান কোচ কোনো রাখঢাক না করেই বলেছেন, ভয় ঢুকে গেছে পাকিস্তান শিবিরে, ‘এই মুহূর্তে দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের সংকট চলছে। ড্রেসিংরুমে ব্যর্থতার ভয় কিছুটা হলেও গ্রাস করেছে। ক্রিকেট দল হিসেবে আসলেই এখন আমরা কী অবস্থায় আছি, সেটাই আমরা এখন বুঝতে পারছি।’ এরপরই অবশ্য আশার কথাও শোনালেন আর্থার, ‘৯ উইকেটে হেরে যাওয়া দলের জঘন্য পারফরম্যান্সগুলোর একটি হয়ে থাকবে। তবে আমাদের এখানেই থেমে যাওয়ার তো উপায় নেই। এগিয়ে যেতে হবে। আমরা এর চেয়ে অনেক ভালো আর শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব।’
দলের আত্মবিশ্বাসের সংকটের উদাহরণও দিয়েছেন আর্থার। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে অখ্যাত ফখর জামানের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল ভারত। সেই ফখর জামানকে এবার পাল্টা হিসাব চুকিয়ে দিয়েছে। ফখর যেন রান করতেই হাঁসফাঁস করছিলেন। আর্থার এই উদাহরণ টেনে বলেছেন, ‘ক্রিকেট হচ্ছে আত্মবিশ্বাসের খেলা। ফখর জামানকে দেখুন। আমরা জানি ও কতটা অবিশ্বাস্য খেলোয়াড়। পার্থক্য গড়ে দেওয়ার মতো খেলোয়াড় সে। আমরা প্রত্যাশা করি ও আমাদের ভালো শুরু এনে দেবে। কিন্তু এই মুহূর্তে নিজের খেলা নিয়ে ওর মধ্যে যেন দ্বিধাদ্বন্দ্ব চলছে।’
শুধু তো ব্যাটে নয়, বোলিংয়েও পাকিস্তানের অন্যতম ভরসা মোহাম্মদ আমিরের অবস্থা যাচ্ছেতাই। টানা ৫ ওয়ানডেতে উইকেটশূন্য আমির। দুদিনের মধ্যে সব ঝামেলা মিটিয়ে ফেলতে হবে আর্থারকে। টাইম ইজ টিকিং…টিকটক টিকটক টিকটক…!