ইন্টারভিউতে স্তন নিয়েই প্রশ্ন করা হতো, সরাসরি ফাঁস করলেন সাহসী এই মেয়ে
বাবা-মায়ের রাখা হিরণ্ময় দে নাম বদলে তিনি এখন হয়েছেন সুচিত্রা দে, তাও আবার স্বেচ্ছায়। সমাজের গোড়ামীকে উপেক্ষা করে নিজের পছন্দের জীবন বেঁচে নিয়ে উক্কোশিক্ষায় নিজেকে শিক্ষিত করে তুলেছেন তিনি। কিন্তু যতই উপেক্ষা করুন না কেন, এই সমাজের কটাক্ষের মুখে পড়তেই হয়েছে বারবার, হেনস্থা হতে হয়েছে বারবার। এমনকি স্কুলের চাকরিতে আবেদন করলে ইন্টরভিউতে সম্মুখীন হিওতে হয়েছে অস্বস্তিকর প্রশ্নের।
নিজের ট্রান্সজেন্ডার জীবনের গল্প তুলে ধরেছেন সংবাদমাধ্যমে। ইংলিশ এবং ভূগোলে জোড়া মাস্টার ডিগ্রি রয়েছে তার, রয়েছে বি.এড ডিগ্রিও। শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। এতো ডিগ্রি নিয়ে যখন কোনো ইন্টারভিউতে তিনি যান, সেখানে ডিগ্রির পরিবর্তে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় নানাধরণের ব্যক্তিগত প্রশ্ন। এমনকি এক নামি স্কুলের পরিমনশিপলূ তাকে জিজ্ঞেস করেছেন তার স্তনযুগল আসল কিনা, বা তিনি কোনোদিনমা হতে পারবেন কিনা, মা হলে সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারবেন কিনা।
গতবছরই সেক্স-রিসাইনমেন্ট সার্জারি করে পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তরিত হয়েছেন তিনি। সমাজ দ্বরা বারবার হেনস্থার শিকার হয়ে পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগও করেছেন তিনি। ২০১৪ সালে শীর্ষ আদালত ট্রান্সজেন্ডারকে স্বীকৃতি দিলেও সমাজের কাছে তারা সবসময় ই যেন তুচ্ছ বা ঠাট্টার জিনিস। কিভাবে এই স্বীকৃতি পাওয়ার পর এবংহ ১০ বছরের কর্ম অভিজ্ঞগতা থাকা সত্বেও প্রতিটি মুহূর্তে তাকে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে, তা জানিয়েছেন অভিযোগে। প্রয়োজনে তিনি আইনি ব্যবস্থা নিতেওঁ প্রস্তুত এমনটাই লিখেছিলেন চিঠিতে।
চারটি স্কুলের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ ট্রান্সজেন্ডার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের পরামর্শে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। তার মধ্যে দুজন প্রিন্সিপাল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বাকি দুই স্কুলের প্রিন্সিপালের ব্যাপার সংবাদমাধ্যম কোনো তথ্য পায়নি।