সরকারের বড় বড় প্রকল্পের জন্য বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক : সরকারের বড় বড় প্রকল্পের জন্য বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে বলে জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
সোমবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ার বেশকিছু কারণ আছে। ‘পদ্মা সেতু প্রকল্প’, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প’, ‘মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প’ এবং ‘পায়রা বিদ্যুৎ প্রকল্প’র মতো বড় বড় প্রকল্পের জন্য যন্ত্রপাতি ও প্লান্ট আমদানির কারণে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে।
তিনি বলেন, গত বছর বন্যায় বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ঘাটতি পূরণে বিপুল পরিমাণে খাদ্যশস্য আমদানি করায় বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। ভোক্তার সক্ষমতা বাড়ার কারণে ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চীন, ভারত ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আমাদের বড় বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে আমরা প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করি, কিন্তু তারা আমাদের দেশে এক বিলিয়ন ডলারও রপ্তানি করতে পারে না।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমরা প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করি। অথচ, তারা আমাদের দেশে এক বিলিয়ন ডলারও রপ্তানি করতে পারে না। তাই বাণিজ্য ঘাটতি থাকলেই যে খারাপ তা বলা যাবে না।
নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশিদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক, রাজউক বা সিডিএ বা কেডিএ’র সদস্য এবং বুয়েট’র সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত রিভিউ প্যানেল ১৬৩টি কারখানাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
তিনি বলেন, এগুলোর মধ্যে ৩৯টি কারখানা বন্ধ ও ৪৭টি কারখানাকে আংশিক বন্ধ করা হয়েছে। বাকি কারখানাগুলোর সংস্কার কাজ চলছে।
ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের পণ্য বিক্রির উদ্যোগ হিসেবে বর্ডার হাট বসানো হয়। সরকার আরও কয়েকটি জায়গায় বর্ডার হাট বসানোর পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে আসবেন। ওই সফরেই বর্ডার হাটের বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।