ভাগনিকে নিয়ে পালালেন নবী, বললেন জায়েজ আছে
জেলা প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় স্ত্রী-সন্তান রেখে আপন বড় ভায়রার মেয়েকে (১৪) নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত ভায়রা নবী হোসেনকে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার ভোরে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ পাকাপুল এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার নবী হোসেন ফতুল্লার পূর্ব গোপালনগর এলাকার বাদল মুদির ছেলে।
গ্রেফতারের পর আপন ভায়রার মেয়েকে নিয়ে কেন পালিয়েছেন জানতে চাইলে নবী হোসেন পুলিশকে বলেন, পালিয়েছি তো কী হয়েছে। ভায়রার মেয়েকে বিয়ে করা জায়েজ আছে।
একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তান ও এক ছেলেসন্তান এবং স্ত্রী রেখে ভায়রার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এলাকাসহ বিভিন্ন মহল থেকে নবীকে ধিক্কার জানানো হয়।
পুলিশ জানায়, ফতুল্লার পূর্ব গোপালনগর এলাকার বাদল মুদির ছেলে নবী হোসেন একই এলাকায় বিয়ে করে। তার এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। নবী হোসেনের আপন ভায়রার মেয়ে তার বাড়িতে বেড়াতে আসলে নবীর নজরে পড়ে।
একপর্যায়ে ভায়রার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দেয় নবী। এতে সে রাজি হয়নি। এরপর স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে তাকে উত্ত্যক্ত করত নবী। গত বছরের ২ অক্টোবর রাতে ভায়রার মেয়ে বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার পথে নবী ইসলাম ও তার লোকজন অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে নবী ইসলামসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নবীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়।
এছাড়া নবী হোসেনের স্ত্রী আদালতে মামলা করেন। দুই মামলায় নবীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর সোমবার ভোরে নবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাফিউল আলম বলেন, স্ত্রী-সন্তান ফেলে আপন ভায়রার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। ভায়রার মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে নবী। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।