রোজায় ওজন নিয়ন্ত্রণের উপায়
ডা. তানজিয়া নাহার তিনা: রোজার সময় আমাদের খাদ্যাভ্যাসে প্রচুর পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। বাঙালি ভোজনরসিক হওয়ায় ইফতারে তৈলাক্ত ও মশলাযুক্ত খাবার বেশি পছন্দ করে। অতিরিক্ত তেলযুক্ত এ খাবারগুলো খেয়ে রোজায় ওজন কমার পরিবর্তে উল্টো বাড়িয়ে ফেলেন অনেকেই। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে এসব তেলজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।
আরও : মুস্তাফিজকে সামলাতেই ওয়ালশের বিপত্তি!
এ ছাড়া গরমের এই লম্বা সময়ে রোজা রাখা বেশ কষ্টকর। তাই ইফতারে প্রচুর পানি পান করা উচিত। প্রচুর পানি পান করলে একদিকে যেমন শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তেমনি পানি শূন্যতার হাত থেকে রক্ষা পাবে শরীর। ইফতার থেকে সেহরির মধ্যবর্তী সময়ে তাই অন্তত আট গ্লাস পানি পান করা উচিত। রোজার সময় শরীরের পাচক প্রক্রিয়া কমে যায়। যার ফলে, শরীরের খাদ্যের চাহিদাও কমে যায়। তাই রোজা শেষে ইফতার হওয়া উচিত হালকা ও সুষম। ইফতারে খেজুর, কাঁচা ছোলা, ফলমূল কিংবা সবজির সুপ বা সালাদ গ্রহণ করা যেতে পারে।
এ ছাড়া কোনোমতেই সেহেরি বর্জন করা উচিত নয়। সেহেরি না করলে সারাদিনের ক্ষুধার পরিমাণ বেড়ে যাবে। এতে ইফতারে বেশি পরিমাণ খাবার খাওয়া হয়, যা শরীরে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। রাত ও সেহরির খাবারে ভাত বা রুটির সাথে মাছ, মুরগির মাংস কিংবা ডিম এবং সবজি খাওয়াই ভালো। রমজানে আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম স্বাভাবিক ভাবেই করা উচিত। এ ছাড়া, হালকা ব্যায়াম করলে ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।