ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাপার ইফতারে দুর্বৃত্তদের হামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) ইফতার মাহ্ফিলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের লোকনাথ দিঘির পাড়স্থ পৌর কমিউনিটি সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে। এতে দলটির অন্তত পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে জেলা জাতীয় পার্টি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম জানা যায়নি। হামলার সময় দুর্বৃত্তরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা জাপার সভাপতি এ্যাড. জিয়াউল হক মৃধা গাড়িসহ তার বহরে আসা ৪/৫ গাড়ি ভাঙচুর করে।
জেলা জাতীয় পার্টি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার পৌর কমিউনিটি সেন্টারে ইফতার মাহ্ফিলের আয়োজন করে জেলা জাতীয় পার্ঠি। ইফতার মাহফিলে জাতীয় পার্টি সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন। ইফতারের পূর্বে সাংসদ এ্যাড. জিয়াউল হক মৃধার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের যুব বিষয়ক উপদেষ্টা এ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের উপদেষ্টা কাজী মামুনুর রশীদ, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, পৌর বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
আলোচনা অনুষ্ঠানের পর দোয়া শেষ হওয়া মাত্রই কিছু দুর্বৃত্তরা এসে হামলা চালায়। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্বৃত্তরা অনুষ্ঠানস্থলের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর শুরু করে। সেই সময় দুর্বত্তরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি, সাংসদ সদস্য এড. জিয়াউল হক মৃধা এমপি’র গাড়ী ভাংচুরসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কমিউনিটি সেন্টার ভাংচুর করে। এই ঘটনায় পুলিশের নেয় বলে চলে এমনটা দাবি করে জাতীয় পার্টি।
আরও : সুরা আল-ফজর: আল্লাহর কুদরতের পথ প্রদর্শক
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের উপদেষ্টা কাজী মামুনুর রশীদ জানান পবিত্র ইফতারে সময় হামলা চালানো দুংখজনক। এসময় তিনি জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের যুব বিষয়ক উপদেষ্টা এ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভুইয়া জানান এই হামলার সাথে স্থানীয় ছাত্রলীগ জড়িত বলে তিনি দাবি করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি, সাংসদ এ্যাড. জিয়াউল হক মৃধা সাংবাদিকদের বলেন, দল থেকে সদ্য বহিস্কৃত নেতা ওয়াহেদুল হক ওয়াহাবের ইন্ধনে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও সরকার দলের সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছে। ইতোপূর্বেও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জেলা জাপার কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছিল। ডজনখানেক পুলিশের সামনে আমার গাড়িসহ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেন সাংবাদিকদের আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রæত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।