সংসদ বহাল রেখে আগামী নির্বাচন উচিত হবে না : ড. কামাল
নিজস্ব প্রতিবেদক : সংসদ বহাল রেখে আগামী জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত হবে না। অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে এটা বলা যায়, কিছু অসৎ লোক ছাড়া সবাই বলবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে অবাধ ও নিরপেক্ষ। বললেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে গণফোরাম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. কামাল বলেন, যারা নির্বাচন পরিচালনা করে তারা যদি নিরপেক্ষ না হন, তাহলে জনগণ কীভাবে ভরসা করবে? বর্তমানে যে রকম রাজনীতির পরিস্থিতি, তা-ই চলতে থাকলে গতবারের নির্বাচনের মতো একটি নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। বিগত নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, দেশবাসী একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। সবাই আশা করেছিল ২০১৪’র অনুষ্ঠিত তথাকথিত একটি নির্বাচনের পর খুব শিগগির আরও একটি নির্বাচন হবে। কিন্তু নির্মম পরিহাস সে নির্বাচন এখনও অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তিনি বলেন, জনগণের দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।
এসময় এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী ছাড়া সবার সঙ্গে ঐক্য হবে। ঐক্য হবে নীতির ওপর ভিত্তি করে। এবং সে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যম জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
ড. কামাল অভিযোগ করে বলেন, এখন রাজনৈতিক দলে গণতন্ত্র নেই। তাই দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র আনতে ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। রাষ্ট্রের পাশাপাশি প্রতিটি রাজনৈতিক দলেও জনগণের ক্ষমতা থাকতে হবে।
নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনকালে আইনকে সঠিকভাবে প্রয়োগের জন্য যদি সেনাবাহিনীকে প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই করা দরকার। সেরকম অবস্থায় যেতেও পারে, না-ও যেতে পারে। সেই অবস্থায় যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে যারা আছেন তাদের সেটা মূল্যায়ন করতে হবে।
ড. কামাল বলেন, আপনারা দেখেছেন ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে অনেক বক্তৃতা রয়েছে। সেগুলো একসঙ্গে করে দিলে আমি একটি ম্যানিফেস্টো ছাপিয়ে বিলি করে দিতাম। তার বক্তব্যতে স্পষ্ট কীভাবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য আওম শফিক উল্লাহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট আলতাফ হোসেন চৌধুরী, জানে আলম প্রমুখ।